Monday , 25 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
কুমারখালী বাগুলাট ইউনিয়নের আতংক সৃষ্টিকারী একাধিক মামলার আসামী প্রভাষক আলী হোসেন

কুমারখালী বাগুলাট ইউনিয়নের আতংক সৃষ্টিকারী একাধিক মামলার আসামী প্রভাষক আলী হোসেন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের আতংক হত্যা,মারামারি, কোন্দল এবং সংঘর্ষ সৃষ্টিকারী মুলহোতা বাশগ্রাম আলাউদ্দিন আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আলী হোসেন। কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়ন, পান্টি ইউনিয়ন ও কুষ্টিয়ক সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের একাংশ এলাকায় অপরাধের সম্রাজ্য গড়ে তুলে প্রভাষক আলী হোসেন রাজ কায়েম চালিয়ে যাচ্ছে। মারামারি,হট্টগোল, হত্যা সহ নানা অপকর্মের তার প্রতিদিনের রুটিনের মত ভদ্রবেশধারী প্রভাষক আলী হোসেনের। আলি হোসেন ছাত্রজীবনে শিবির রাজনীতি করতেন। ১৯৯০ সালে বাগুলাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জামাত দলীয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মওঃ সামসুদ্দিন আহমেদের পলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব ছিলেন প্রফেসর আলী হোসেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে আওয়ামী লীগে যোগদান করে বর্তমানে  দাঙ্গা ফ্যাসাদ করে বেড়াচ্ছে। কিন্তু সে আওয়ামীলীগের কেউ নয় বলে আজও অবধী তার কোন পদ পদবী নেই।  বছর খানেক আগে বাশগ্রামের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে  আজম আলী নামে এক ব্যাক্তি নিহত হয়। সেই  হত্যার এক নম্বর আসামি ছিলেন আলী হোসেন। যার মামলা নং – কুমারখালি জিআর ১০০/১৯। সেই মামলায় ১০ মাস ১১ দিন জেল হাজতও খেটেছেন আলী হোসেন। এ ছাড়াও গত কয়েক মাসের মধ্যে ভুড়ুয়া পাড়ায় পর পর দুটি মার্ডার হয় সেই মার্ডারের সাথেও আলী জড়িত বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। বর্তমানে বাগুলাট ইউনিয়নে যতপ্রকার দাঙ্গা ফ্যাসাদ হচ্ছে সবকিছু প্রফেসর আলী হোসেনের নেতৃত্বেই হচ্ছে।এরই জের ধরে গত কয়েক দিন আগে শালঘর মধুয়া গ্রামে মাঠের ভুট্টা ভাঙ্গা কে কেন্দ্র করে আওয়ামিলীগের  দুই গ্রুপের থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে আসছিল। এরপর গত ২৮ এপ্রিল সকালে প্রফেসর আলী হোসেনের নেতৃত্বে দুই গ্রুপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে অবস্থা বেগতিক হলে খবর পেয়ে কুমারখালী থানা পুলিশ, বাঁশগ্রাম গ্রাম পুলিশ ক্যাম্প ঘটনাস্থলে পৌছে  ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট ফায়ার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় কুমারখালী থানায় একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় আলী আসামী রয়েছে। যার মামলা নং – কুমারখালি জিআর ৪০/২১। এসব অপকর্মের কারনে বাগুলাট ইউনিয়নকে অশান্ত করে রেখেছে প্রভাষক আলী হোসেন। তাই বাগুলাট ইউনিয়নের সাধারন জনগনের দাবি যথাযথ কর্তৃপক্ষ আলীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করে অশান্ত পরিবেশকে শান্ত করবেন বলে জোড়ালো দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রভাষক আলী হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply