অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলার হাজী মুসা ম্যানশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারতলার বাসিন্দা ইব্রাহিমের পরিবারের পাঁচ সদস্য দগ্ধ হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ছোট মেয়ে ও ইডেন মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া সরকারের (২০)। বড় মেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ইসরাত জাহান মুনার বিয়ে হয়েছে মাত্র দেড় মাস আগে। তার স্বামী আশিকুর রহমান বুয়েটে পড়াশোনা করছেন। এই নবদম্পতি এখন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সেহরি খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মো. ইব্রাহিম সরকারের পরিবার। তার স্ত্রী সুফিয়া সরকার বাসার সবাইকে সেহরির জন্য ঘুম থেকে ডেকে তুলছিলেন। ঠিক সেহরি খাওয়ার সময় হঠাৎ চারদিকে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। ইব্রাহিম তার স্ত্রী সুফিয়া, তাদের ছেলে জুনায়েদ সরকার, বড় মেয়ে ইসরাত জাহান মুনা ও মুনার স্বামী আশিকুর রহমান আগুন লাগার খবর শুনে সবাই বারান্দায় চলে আসেন। সুমাইয়া-মুনাদের মামাতো ভাই ফারুক জানান, মুনা ও তার স্বামীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। বাকিরা দগ্ধ হননি। ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। নিহত সুমাইয়ার মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতালে আছে। সেখান থেকে সোনারগাঁওয়ে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তন্ময় প্রকাশ ঘোষ দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ছয়তলা ভবনে কেমিক্যাল গোডাউনে লাগা আগুনে দগ্ধ ২১ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে আছেন। বাকি ১৬ জন বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি।
চিকিৎসাধীনদের মধ্যে মোস্তফা নামে একজন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। ভর্তি ২০ জনের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এদের মধ্যে দু’জনের ফিজিক্যাল বার্ন।