ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
বাড়ির আঙিনায় হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে কোমড়ের হাড় ভেঙ্গে যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাবেক সদস্য সুলতা সাহার।
গত ১৪ এপ্রিল আহত হওয়ার পর তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এখন অর্থাভাবে ওষুধ কেনার খরচ মেটাতে পারছে না তার পরিবার।
শহরের পাইকপাড়ার বাসিন্দা কিরণ চন্দ্র সাহার স্ত্রী সুলতা সাহা (৫৫) দুর্দিনে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন।
কিরণ চন্দ্র সাহা জানান, নয় হাজার টাকা মাসিক বেতনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহপরান ফ্লাওয়ার মিলসে অফিস সহায়ক পদে চাকুরি করেন। ওই টাকা দিয়ে বাড়ি ভাড়ার খরচ যুগিয়ে সংসার চলে অভাব-অনটনে। এর মধ্যে তাদের একমাত্র ছেলে সন্তান মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাদের কষ্টের শেষ নেই। এ অবস্থায় টাকার অভাবে ওষুধ কেনারও সামর্থ্য নেই পরিবারটির। কিরণ চন্দ্র সাহা বলেন, তার স্ত্রী’র খোঁজখবর নিচ্ছেন কেবল একজন নারী নেত্রী। চট্টগ্রামের বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে নির্বাচিত তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত হাসপাতালে সুলতার পাশে দাঁড়িয়েছেন।
বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুলতা সাহার দেখভাল করছে তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত। সুলতার যাবতীয় চিকিৎসা ও ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন নিশাত। হাসপাতাল থেকে সরকার কর্তৃক সরবরাহতকৃত ওষুধের যোগান দেওয়ারও ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত বলেন, দু:সময়ে আওয়ামী মহিলা লীগের নেত্রী ছিলেন সুলতা সাহা। গত প্রায় আড়াই বছর ধরেই আমি তার খোঁজখবর নিচ্ছি। বর্তমানে তিনি এই হাসপাতালে ভর্তি আছেন, পরে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে আমরা তার পাশে থাকবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌরসভার ১, ২ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ‘পদ্মফুল’ প্রতীক নিয়ে বিগত নির্বাচনে অংশ নিয়েছেলেন সুলতা। তবে তিনি বিজয়ী হতে পারেননি। সেলাই মেশিন প্রতীকে হোসনে আরা বেগম তার আসনে জয়লাভ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন বলেন, ভর্তি হওয়ার পর থেকেই অর্থোপেডিক বিভাগের কনসালটেন্টরা এই রোগীকে বিশেষভাবে দেখছেন। হাসপাতাল থেকে খাবারসহ ওষুধ দেয়া হচ্ছে। তার যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার তারও ব্যবস্থা করা হবে।