ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের টাকার জন্য ফারহানা আক্তার(১৯) নামের এক নববধূকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুঁলিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে কসবা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর বলা যাবে। এখন এব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না।
গতকাল রাত কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকায় স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত ফারহানা আক্তার কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি উপজেলার দক্ষিন বাগিচা গাঁও এলাকার মো. দুলাল মিয়ার একমাত্র মেয়ে।
নিহতের ভাই জানে আলম রাজিব জানান, গত সোমবার দুপুরে ফারহানা আক্তারকে জোরপূর্বক ভাবে কসবায় নিয়ে আসেন তার বোনের শ্বশুর নুরু মিয়া। গতকাল রাতে ফারহানা আক্তারের শ্বশুর ফোন দিয়ে বলেন ফারহানা অসুস্থ। কসবা থানায় এসে দেখি ফারহানা নাকি ফাঁসিতে ঝুঁলে আত্মহত্যা করেছে।
দোলোয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে রাজিব বলেন, বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্য চলছিল। এসব বিষয় নিয়ে দোলোয়ার তার বোন ফারহানাকে গতকাল রাতে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুঁলিয়েছে। তারপর কসবা থানায় গিয়ে দেখি ফারহানার লাশ। এখন পর্যন্ত শ্বশুর বাড়ির কেউ তাদের সাথে যোগাযোগ করেননি।
তিনি আরও বলেন, গত ২মাস আগে কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে দেলোয়ারের কাছে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক তিনলক্ষ টাকা কাবিননামায় ফারহানাকে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে ফারহানাকে তার স্বামী-শ্বাশড়ি যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। গত সোমবার নুরু মিয়া ফারহানাকে আনতে গিয়ে ফার্নিচারের টাকার দাবি করেন। তখন ফারহানা শ্বশুর বাড়িতে যাবেনা বললেও তাকে জোরপূর্বক ভাবে নিয়ে আসে শ্বশুর নুরু মিয়া। গতকাল রাতে ফারহানাকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে রাখেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে, কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গতকাল রাতে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ফারহানার নামের এক নববধূর লাশ উদ্ধার করি। আজকে ময়নাতদন্তের পর নববধূর লাশ পরিবারের কাছ হস্তান্তর করা হয়েছে। এব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।