অনলাইন ডেস্ক:
স্কুল চলাকালীন আগুনে পুড়ে শ্রেণিকক্ষেই ২০ কোমলমতি শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। স্কুলের বেশিরভাগ শ্রেণিকক্ষ খড়ের তৈরি হওয়ায় আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। অবর্ণণীয় এ বিভৎস ঘটনা পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের।
দেশটির রাজধানী নিয়ামির পেইজবাস এলাকার পার্শ্ববর্তী এক গরিব এলাকায় মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় এ অগ্নিকাণ্ড হয়।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে নাইজার ফায়ার সার্ভিস কমান্ডার সিদি মোহাম্মদ বলেন, ‘খড়ের তৈরি ২১টি শ্রেণিকক্ষে আগুন ধরে যায়। এতে প্রায় ২০ শিশু আটকা পড়ে মারা যায়। উদ্ধারকর্মীরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে শিশুগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়।’
ঘটনার পর পর নাইজারের প্রধানমন্ত্রী উহোমৌদৌ মাহামাদু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হতাহত শিশুদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেন।
কীভাবে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড?
কীভাবে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই জানাতে পারেননি নাইজার ফায়ার সার্ভিসের প্রধান কোলোনেল বোকো বউবাকার।
তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আগুনের সূত্রপাত বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই ৩ থেকে ৪ বছর বয়সী।
মউনকালিয়ি হালিদো নামের এক অগ্নিনির্বাপককর্মী বলেন, ‘প্রথমে স্কুলের প্রধান ফটকে আগুন ধরে। কিন্তু স্কুলে জরুরি বহির্গমন ফটক না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী আটকা পড়ে। অনেকে বাধ্য হয়ে স্কুলের দেয়াল টপকে প্রাণে বাঁচে। কিন্তু নার্সারির খুদে শিক্ষার্থীরা আর দেয়াল টপকাতে পারেনি। তারা আগুনে পুড়ে যায়।’