আবদুর রশিদ ,নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাধীনতার ৫০ বছর পর মিয়ানমারসীমান্তবর্তী পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ির দূর্গম পাহাড়ের চাক-মুরুং ও ত্রিপুরা শিশুদের জন্যে শিক্ষার ব্যবস্থা হলো। গহীন পাহাড়ে প্রতিষ্ঠা হলো শিশু সদন। আর এখন যা হয়েছে পর্যায়ক্রমে আরো হবে । তিনি আরো বলেন,দৌছড়ি ইউনিয়নের কুরিক্ষ্যং আলিয়াং ঝিরি এলাকায় প্রতিষ্টা করা হবে একটি হাইস্কুল। এটি প্রতিষ্টা পেলে দূর্গম পাহাড়ের অন্ধকার দূর হয়ে জ্বলবে আলোর মশাল। জ্বলবে আলো-আসবে শান্তি,প্রতিষ্টা পাবে মানবাধিকার। হাসি ফুটবে পাহাড়ি শিশুদের। আর তাদেরকে আর অনেক দূরের পাহাড় বেয়ে পড়া-লেখা করতে যেতে হবে না ভবিষ্যতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুরের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।
১১ এপ্রিল রোববার সকাল ১০ টায় বৃহত্তর কুরিক্ষ্যং আলিয়াং ঝিরিতে বান্দরবান জেলা পরিষদের অর্থায়নে মন্ত্রী বীর বাহাদুর শিশু সদনছাত্রাবাস উদ্বোধনকালে ছাত্রাবাস চত্বরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মো: শফিউল্লাহ এ সব কথা বলেন। বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ক্যন অং চাকের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান মংহ্লা ওয়াই মার্মা,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রাজা মিয়া,উপজেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক ইমরান মেম্বার,উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আবদুচ্ছাত্তার,উপজেলা যুবলীগ নেতা ও কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো হোসেন,ঘুমধুম সীমান্ত কলেজ বাস্তবায়ন কমিটির সমস্য সচিব অধ্যক্ষ ফরিদ আহমদ চৌধুরী,শিক্ষাবিদ মাস্টার হামিদুল হক,যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলী হোছাইন,বীর বাহাদুর শিশু সদন পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ক্যাছিং মং চাক ও শিশু সদনের জমিদাতা ক্যলু অং চাক,ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহিম খলিল মামুন ও মুমিনল হক মুমু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রধান অতিথি প্রথমে ৩০ শয্যা বিশিষ্ট ছাত্রাবাসের উদ্বোধন করেন। এর পরপর স্থানীয় কৃষকদের মাঝে জেলা পরিষদ সদস্য ক্যন অং চাক কতৃর্ক দেয়া কৃষি কাজের ব্যবহার উপযোগী স্যলু মেশিন আর উপজেলা পরিষদ কতৃর্ক কয়েক’শ মূরুং,ত্রিপুরা ও চাকদের মাঝে সেমাই ও নিত্য ব্যবহারের জন্যে নতুন কাপড় বিতরণ করেন । যা পেয়ে মহাখুশি ক্ষূদ্র নৃ-গোষ্ঠির সদস্যরা।