ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দীর্ঘদিন যাবত একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের এডহক কমিটি নিয়ে বিতর্ক চলছে। উপজেলার লাউরফতেহপুর আর এন টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ঘোষণার৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে দেওয়া হয়েছে নতুন আরেকটি কমিটি।
বুধবার (৭ এপ্রিল) কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শকের সাক্ষরিত অনুমোদন দেওয়া ওই কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেককে।
এছাড়া কমিটিতে পদাধিকার বলে সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক প্রতিনিধি শাহীন আরা বেগম ও অভিভাবক প্রতিনিধি রাশিদা সিদ্দিকাকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাউরফতেহপুর আর এন টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল আমিন খাঁন।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল রোববার বোর্ড থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিককে সভাপতি, পদাধিকার বলে প্রধান শিক্ষক সদস্য সচিব, শিক্ষক প্রতিনিধি শাহীন আরা বেগম ও অভিভাবক প্রতিনিধি রাশিদা সিদ্দিকাকে এডহক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে এডহক কমিটি’র সভাপতি পাল্টে যাওয়া নিয়ে নবীনগর উপজেলা জুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
দুটি বিজ্ঞপ্তিতেই উল্লেখ করা হয়, লাউর ফতেহপুর আর এন টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড উল্লেখিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে স্মারকের ইস্যু তারিখ থেকে পরবর্তি ৬ মাসের জন্য সভাপতির মনোনয়ন সহ এডহক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
এই স্কুলের এডহক কমিটি গঠন করা নিয়ে গত ১৬ মার্চ উপজেলা পরিষদ গেটে দিনে-দুপুরে প্রধান শিক্ষক আল আমিন খানকে লাঞ্ছিত করেন ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক। এনিয়ে চলে তোলপাড়। বিষয়টি নিয়ে গত (২০ মার্চ) স্থানীয় সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল ও সাবেক সাংসদ ফয়জুর রহমান বাদল সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এক সালিশি সভায় অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক ও প্রধান শিক্ষক আল আমিন খানকে ‘করমর্দন’ করিয়ে ঘটনাটির নিষ্পত্তি করা হয়।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল আমিন খান বলেন, ‘মারধোরের বিষয়ে আমি থানায় লিখিত কোন অভিযোগ দেয়নি। বিষয়টি স্থানীয় এমপি মহোদয়ে ও সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদল সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে মিমাংসা করে দিয়েছেন। আমি শিক্ষক সমাজের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে গিয়েছিলাম ওই সভায়। কমিটি দেওয়া সম্পূর্ণ শিক্ষাবোর্ডের এখতিয়ার, বোর্ড দিলে তো আমি কিছু করতে পারব না’।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল সিদ্দিক বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে জানি না। আমি অফিসিয়াল কোন চিঠি পাইনি, আমাকে কেউ জানায়নি। আপনারা যেমনটি শুনেছেন, আমিও তেমন শুনেছি। এটা শিক্ষাবোর্ড ভাল বলতে পারবে’।
কমিটির বিষয়ে জানতে ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেকের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।