অনলাইন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ধর্ম ব্যবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘হেফাজত নেতার নৈতিক স্খলনজনিত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তথ্যনির্ভর এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটন।’
সোমবার (৫ এপ্রিল) সরকারি বাসভবন থেকে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ধর্ম ব্যবসায়ীদের আঁতে ঘা লেগেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জনগণ ভেবেছে এ লজ্জাজনক ঘটনার পর তথাকথিত নেতারা জনসম্মুখে ক্ষমা চাইবেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে চোরার মায়ের বড় গলা।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘এদেশ পীর আউলিয়া ও ওলামায়ে কেরামের দেশ। এখানে ধর্মকে অধর্ম চর্চার হাতিয়ারে পরিণত করতে খোদ ইসলাম প্রিয় জনগণই দেবে না।’
‘তাদের একজন নেতার সোনারগাঁওর একটি রিসোর্টে অনৈতিক ঘটনার পর তাদের ফোনালাপসহ অন্যান্য বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল এবং একজন সুন্দরী নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে পরিচয় দেয়া এখন আর গোপন নয়। এসব অনৈতিক ঘটনার সমর্থনে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের যে তাণ্ডবলীলা চলছে, তাতে এই উগ্র- সাম্প্রদায়িক, গোষ্ঠীর স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে।’
এই উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি স্বরূপ, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে টার্গেট করেই তারা তাদের পুরনো পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায় বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি ধর্মীয় এই অপশক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের সকল দেশপ্রেমিক জনগণকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যারা তাণ্ডব চালিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে দেশের জনগণ রয়েছে, সুতরাং যারা পেছন থেকে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে উসকানি দিচ্ছে এবং অর্থায়ন করছে – তাদের মুখোশও উন্মোচন করা হবে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশব্যাপী এক সপ্তাহের লকডাউন এবং সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে রাজধানীর অদূরে সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে হেফাজত নেতা মামুনুল হক একজন নারীসহ অবস্থান করছেন এমন খবর পেয়ে স্থানীয় কিছু লোকজন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁর কক্ষটি ঘেরাও করেন। যদিও মামুনুল হক সঙ্গে থাকা নারীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন। পরে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে হেফাজতের একদল নেতা–কর্মী, মাদ্রাসাছাত্র মিছিল নিয়ে এসে রয়েল রিসোর্ট নামের ওই অবকাশযাপন কেন্দ্রটিতে ভাঙচুর চালিয়ে মামুনুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।