নাঙ্গলকোট(কুমিল্লা)প্রতিনিধি:কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট ইউপির মন্তলী-শ্রীরামপুর ও দক্ষিন মাহিনী গ্রামে অবস্থিত কৃষি জমিতে গড়ে উঠেছে হাজারী ইটভাটা। নিয়মনীতি অমান্য করে চলছে এ ভাটার কাজ কর্ম। কালোধোয়ার কারনে শতশত একর কৃষি জমির বোরো ধান নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষক জমিতে সার,ওষধ দিয়ে কোন সুফল পাচ্চেন না। এক বছরে এক ফসল, তা আবার বোরো ধান। ইটভাটা কর্তৃপক্ষকে ও জানালে তারা বিষয়টি অমান্য করছে। এছাড়াও ইটভাটায় রয়েছে কৃষি জমির টপসয়েল। কৃষকরা উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। দক্ষিণ মাহিনী গ্রামের কৃষক সামছুল হক বলেন- এবার ২৮ জাতের ধান চাষ করেছি। ৩০ শতক জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এর জন্য তিনি দায়ী করেন ইটভাটাকে । শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক অহিদুর রহমান বলেন-৪৮ জাতের ধান চাষ করেছি। সঠিক ভাবে ওষধ ও সার দিয়েছি। কিন্তু ৩৬ শতক জমির ফসল সব নষ্ট হয়ে গেছে। বাড়ীর ফলদ গাছের সব ফল নষ্ট হয়ে গেছে। শ্রীরামপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষক আমান উল্লাহ বলেন- ২৮ জাতের ধান চাষ করেছেন। পুরো জমির ধান গাছ আছে,কিন্তু গাছে ফসল নাই। হাজারী ইটভাটার ম্যানেজার মামুনুর রশিদ বলেন -ইটভাটার কারনে ফসল নষ্ট হয়নি। এব্যাপারে গতকাল সোমবার রায়কোট ইউপি কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, সরেজমিন গিয়ে দেখে এসেছি। ইটভাটার কালোধোয়ার কারনে কৃষকদের শতশত একর বোরো ধান নষ্ট হয়ে গেছে। নাঙ্গলকোট উপজেলা কৃষি অফিসার মো: জাহিদুল ইসলাম বলেন- ইটভাটা অনেক আগের। তার পরও কৃষি জমির কি ক্ষতি হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার লামইয়া সাইফুল বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।