অনলাইন ডেস্ক:
করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) ঠেকাতে লকডাউন নিশ্চিতকরণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন এলাকায় আজ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
মহাখালী অঞ্চলের আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে গুলশান-১, ২ এবং মহাখালী কাঁচাবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এ সময় করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে উপস্থিত সবাইকে সচেতন করা হয়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলের আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ হোসেনের নেতৃত্বে কারওয়ান বাজারের প্রধান সড়ক হতে সকল অবৈধ ভাসমান দোকান অপসারণ করা হয়েছে। এ সময় ২টি হোটেলের ভিতরে লোকজনকে খাবার পরিবেশনের অপরাধে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার না করার অপরাধে ১৮ জনকে ১ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১টি হার্ডওয়্যারের দোকান খোলা রাখায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ফুটপাতে মালামাল রাখার জন্য ২ জনকে ১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া রাস্তায় পেঁয়াজ মজুদ করায় তা জব্দ করে ৪ হাজার ২০০ টাকা নিলাম বিক্রি করা হয়েছে।
মিরপুর-১০ অঞ্চলের আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজের নেতৃত্বে মিরপুর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এ সময় সংক্রমক ব্যাধি (প্রতিরোধ, প্রতিকার ও নির্মুল) আইন ২০১৮ এর ২৫ (১) ধারায় নির্দেশনা অমান্য করার অপরাধে ১৫ টি মামলায় মোট ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদের নেতৃত্বে নিকুঞ্জ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় ৩টি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
হরিরামপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের নেতৃত্বে উত্তরা সেক্টর ১১,১২, ১৩ ও ১৪ এর সোনারগাঁও জনপদ এভিনিউ, শাহ মখদুম এভিনিউ, গাউসুল আজম এভিনিউ রোডসহ বিভিন্ন রোডে লকডাউন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় মাইকিং করে জনগণকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধানের বিষয়ে এবং অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়ার জন্য সতর্ক ও সচেতন করা হয়। দেখা যায় রাস্তায় বের হওয়া অধিকাংশ লোকজন মাস্ক পরে বের হয়েছে। অভিযান চলাকালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে ৫০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়। ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে মালামাল রাখায় একটি দোকানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দক্ষিনখান অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট হাজী ক্যাম্প এলাকায় ৭টি মামলায় মোট ১০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পার্সিয়া সুলতানার নেতৃত্বে অঞ্চল ১০ এর ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মাছের বাজার, কাঁচা বাজার এলাকায় অভিযানকালে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সচেতন করা হয় এবং মাস্ক বিতরণ করা হয়। দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারা, স্হানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের অপরাধে ৩ জনকে জরিমানা করা হয়। এছাড়াও, রাস্তার চলাচলরত জনগণকে মাস্ক সঠিকভাবে পড়ার পরামর্শ দেয়া হয়, সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সতর্ক করা হয়।
উত্তরখান অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট চারটি মামলায় ৪ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করে।
সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ভাটারা অঞ্চলের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় মোট ৬টি মামলায় ১২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। প্রতিটি এলাকায় করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য জনগণকে সচেতন করা হয়।
নিরীক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসির উদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট মিরপুরের ইব্রাহিমপুরে ৮টি মামলায় মোট ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।
লকডাউন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।