Saturday , 23 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
আমার জানাজার নামাজ তারা পড়াক আমি তা চাইনি: উবায়দুল মোকতাদির এমপি।।

আমার জানাজার নামাজ তারা পড়াক আমি তা চাইনি: উবায়দুল মোকতাদির এমপি।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামকে উদ্দেশ করে বলেছেন, আমার জানাজার নামাজ তারা পড়াক আমি তা চাইনি। আর আপনাদের বলে রাখি, কোনো মুসলমানের জানাজা নামাজ পড়াতে কোনো মৌলভীর সাহেবের প্রয়োজন নাই। যে কোনো মুসলমান জানাজার নামাজে দাঁড়িয়ে নিয়ত যদি বাংলায়ও করেন, যদি দোয়া না পারেন, তাহলে নামাজে দাঁড়িয়ে বলেন, আমি এই মাইয়াতের ক্ষমা প্রার্থনার জন্য জানাজার নামাজে দাঁড়ালাম তাহলেও হবে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বললাম এই কথা।

তিনি বলেন, জানাজার নামাজ নিয়ে আপনারা মাথা ঘামাবেন না। এই খানের (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) মোল্লারা নাকি বলেছেন, ছাত্রলীগের জানাজা নাকি পড়াবেন না। এখানে ছাত্রলীগের যারা আছে তাদের ঘাবড়ানোর কিছু নাই। তোমাদের জানাজার নামাজ তোমার বাবা-ভাই বা প্রয়োজন হলে আমি জানাজা পড়াব। সুতরাং তোমরা জানাজা নিয়ে চিন্তা করবে না। কিন্তু আমরা হেফাজতির কাছে যাব না এই কথা নিশ্চিত থাকো। হেফাজতিরা আমাদের কাছে আসে।

সোমবার (২৯ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

এসময় এমপি আরও বলেন, ‘অনেকে আমাকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছেন। নিজেদের অপারগতা-ব্যর্থতা ঢাকতে তারা এখন আমার ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বললাম,আমি কোনো উস্কানিমূলক কথা বলেনি। কেউ যদি দেখাতে পারেন আমি কোনো কথা উস্কানিমূলক বলেছি, আমি বিচারের সম্মুখীন হতে রাজি আছি।

এমপি মুকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘আমি ৭০ বছর জীবনে বহু হরতাল দেখেছি। হরতালে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা হতে কোনোদিন দেখেনি। অথচ হেফাজতের হরতালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাড়িসহ দলীয় বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা করা হলো। ভূমি অফিসে হামলা করা হলো।’

তিনি বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিদস্যুদের এক সিন্ডিকেট আছে। এই হামলার পেছনে যদি তারাও থেকে থাকে, এর দায় হেফাজতকেই নিতে হবে। অথচ হেফাজত প্রেস কনফারেন্স করে আমার বিচার চেয়েছে, আমাকে গালাগাল করেছে কিন্তু তদন্ত দাবি করে নাই।’

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া প্রমূখ।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply