মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:: কমলগঞ্জে বসতবাড়ি দখলের চেষ্টা, মেয়েদের কুপ্রস্তাব, মারধর ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিসহ একাধিক অভিযোগে ২৪ মার্চ মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মোছাঃ মমতা বেগম (৩৫), স্বামী- মোঃ আতাউর রহমান,সাং- কামুদপুর, ০৬নং আলীনগর ইউপি, থানা- কমলগঞ্জ, জেলা মৌলভীবাজার।তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, মহান স্বাধীনতার মাসে বখাটে সন্ত্রাসীদের মারধর ও হুমকির ভয়ে কন্যা সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে লুক্কায়িত অবস্থায় আছেন। আমি দীর্ঘদিন যাবত মানুষের বাড়িতে কাজকর্ম করে ৪ কন্যা সন্তান নিয়ে অতিকষ্টে জীবন যাপন করে আসছি। দীর্ঘদিন যাবত আমার বসতবাড়ি দখল করার পাঁয়তারা করছে একটি সন্ত্রাসী চক্র। আমার পাশের ঘরের বখাটে মোঃ জাহিদুল ইসলাম (২৩), পিতা- আরব উল্ল্যা সে একজন চিহ্নিত চরিত্রহীন যার অনেক বিচার হয়েছে কামুদপুর এলাকায়।আমার তৃতীয় কন্যা লাভলি বেগম (১৫) সে কামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। বিগত দুই বছর যাবত তাকে উত্যক্ত নানা কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে এবং স্কুলে যাওয়ার সময় পথ আটকিয়ে নানান খারাপ কথা বলতো যা আমার পাড়ার মুরব্বিদের কাছে বিচারপ্রার্থী হয়েছি। বিগত কিছুদিন যাবত তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে, আমার মেয়েদের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটনা করছে বখাটে মিলন। মিলন প্রায় সময় আমার ঘরে হুমকি দিয়ে বলে আমার মেয়ে তার কাছে বিয়ে না দিলে এসিড নিক্ষেপ করবে, বসতবাড়ি জ্বালিয়ে দিবে। আমি যদি তার কাছে মেয়ে বিয়ে না দেয় তাহলে ঘরে থাকতে দিবে না বলে হুমকি দেয়, তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এলাকায় বিচারপ্রার্থী হলে কোন মানুষ ভয়ে কথা বলতে আসে না। গত ১২/০২/২০২১ ইং তারিখ অনুমান দুপুর ২ ঘটিকার সময় জাহিদুল ইসলাম লিমন, মোঃ আকবর মিয়া (৫০), মোঃ তাহির মিয়া (৬০), মোছাঃ হনুফা বেগম (৩৫) সহ কতেক লোক নিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে আমি ও মেয়েদের উপর হামলা চালিয়ে আমাকে মারাত্মক আহত করলে আমি চিকিৎস নেই এবং এলাকার গণ্যমান্য লোকদের অবহিত করে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি যা তদন্তাধীন রয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ করায় আকবর মিয়া ও লিমন ক্ষিপ্ত বলে থানা পুলিশ কিছু করতে পারবে না, থানা পুলিশ তাদের পকেটে থাকে এবং মামলা তুলে না নিলে আমাকে সে খুন করবে বলে হুমকি দেয়।আমার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গত ১৯/০৩/২০২১ইং তারিখে কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করি, ডায়রি নং ৯৪৭। সন্ত্রাসী আকবর মিয়া কামুদপুর এলাকায় একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী যা কামুদপুর এলাকা ও ইসলামপুর ইউনিয়নের কানাইদেশী এলাকায় তার খোঁজখবর নিলে নির্মমতার অনেক চিত্র পাবেন। তাদের ভয়ে আমি ও আমার কন্যা সন্তানদের নিয়ে বসতবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। কন্যা সন্তান নিয়ে আমি মা হিসেবে শান্তিতে থাকতে না পারার কষ্ট সইতে পারছি না। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচারপ্রার্থী সন্তানদের নিয়ে বাঁচতে চাই। কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি প্রশাসনের কাছে সন্ত্রাসীদের শাস্তি দাবি করছি এবং আমার বসতবাড়িতে নিরাপদ ভাবে থাকার জন্য সুব্যবস্থা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।