ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ বিটে বাড়ি যায়গা দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর বর্বরোচিত হামলায় বাড়িতে বেড়াতে আসা মেহমান সহ ৭জন আহত হয়েছে।
শনিবার(২০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে লালপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, মৃত আলী আকবরের ছেলে আলী আহমদ শামীম(৪৫), তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সাজেদা বেগম(৩৫), শামীমের মামা রফি আলী(৬৫), শামীমের মা রওশন আরা(৬৫), নানী আছিয়া বেগম(১০০), ফারুক মিয়া(৫৫) ও সারোয়ার মিয়া(২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মৃত আলী আকবরের ছেলে শামীম গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার চাচা আলী আজগরের ছেলে ইব্রাহিম মিয়ার দখলকৃত বিটে বাড়ির যায়গা থেকে তাদের ঘর উচ্ছেদ করেন৷ কেন উচ্ছেদ করলো ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজকে বিকেলে ইব্রাহিম মিয়া তার দুই ছেলেসহ ১৫-২০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে হঠাৎ তাদের বাড়ির গেইট ভেংগে ভিতরে ঢুকে শামীম সহ সবাইকে মারধোর শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শামীম বলেন, তার চাচা আলী আজগরের ছেলে ইব্রাহিম মিয়ার সাথে দুই শতল জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। গত ১৫ বছর আগে আলী আজগর এক শতক সহ সর্বমোট ২শতক যায়গা তার চাচা চাঁনশা মোল্লা ও তার বাবা আলী আকবরের কাছে বিক্রি করে দেন। কিন্তু কয়েকদিন পর আলী আজগর ওই ২শতক সহ ৩শতক বিটে বাড়ির যায়গা আবার মিথ্যে দলিল বানিয়ে তার ছেলে ইব্রাহিমকে লিখে দেন।
আলী আজগরের কোন যায়গা নেই বলে অভিযোগ করে শামীম বলেন, ৩শতক বিটে বাড়ির যায়গার দলিল ভুয়া ছিল। ভুয়া দলিলের বিরুদ্ধে শামীম ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোডে রেকর্ড সংশোধনীয় মামলাও করেন। মামলা নং ছিল ২০২০/৬০। কোড থেকে একাধিকবার চিঠি পাঠানোর পরও আজগর আলী ও তার ছেলে ইব্রাহিম কোন জবাব দেয়নি। উল্টো জবাব না দিয়ে ইব্রাহিম তার দুই ছেলেকে সাথে নিয়ে ওই যায়গা দখল করে রেখেছিল। পরে তারা দখলকৃত যায়গায় একটি ঘরও তুলেন। ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে বিটে বাড়ির যায়গা দখল ও জোরপূর্বক ভাবে ঘর তোলায় আশুগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন এ বিটে বাড়ির যায়গাটি আমাদের তা লালপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর ৫ং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহির মিয়াও জানেন।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাবেদ মাহমুদ জানান, বিটে বাড়ি যায়গা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আজকে মারামারির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এই ব্যাপারে এখনও কোন অভিযোগ হয়নি।