ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় ছোট ভাইয়ের হত্যা মামলার সাক্ষী হওয়ায় বড়ভাইকে টেঁটাবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।
এসময় সংঘর্ষে ফায়েজ মিয়া(৫৫) নামে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলে মারা যান। দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আরও ১০জন আহত হয়েছে।
শনিবার (১৩ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামে মধ্যপাড়া এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত ফায়েজ মিয়া উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামের মধ্যপাড়া পান্ডব বাড়ির মৃত লাবু মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে। সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিমবাড়ি গ্রামের শাক্কু মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের মোস্তফা মিয়া ও আলী আজগর সরদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে শাক্কু মিয়ার লোকজন নিমবাড়ির রাস্তার সামনে রামদা, বল্লম, চা-পাতি, টেঁটা ও বর্ষাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফায়েজ মিয়ার উপর হামলা করেন। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ফায়েজ মিয়া টেঁটাবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
নিহতের চাচা মোস্তফা জানান, গত ৪বছর আগে জমসিদ মিয়ার ছেলে মনিরের বিরুদ্ধে লাবু মিয়ার ছেলে রহিজ মিয়া পুলিশের কাছে ডাকাতি অভিযোগ করেছিল। ওই বিষয়কে কেন্দ্র জমসিদ মিয়ার ছেলে মনির ও জজ মিয়া রহিজ মিয়াকে টেঁটাবিদ্ধ করে হত্যা করেন। আজকে একই ভাবে তার বড় ভাই ফায়েজ মিয়াকে টেঁটাবিদ্ধ আবার হত্যা করেন।
তিনি আরও বলেন, তার ছোটভাই রহিজ মিয়াকে হত্যা মামলার সাক্ষী ছিলেন ফয়েজ মিয়া। আগামী ৯ এপ্রিল মামলার সাক্ষী ছিল। সে যেন মামলার সাক্ষী না দিতে পারে সেজন্য ফায়েজ মিয়াকে মেরে ফেলা হয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।