মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুর জেলা রাজৈর উপজেলার পূর্ব দারাদিয়া গ্রামে ক্ষেতের শস্য তুলতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আয়েশা একজন নারী আহত হয়েছে। আহতক নারীকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তী করা হয়। বুধবার সকালে মাদারীপুরের রাজৈর থানার বদরপাশা ইউনিয়নের পূর্ব দাড়াদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত পূর্ব দাড়াদিয়া গ্রামের মিন্টু ফকিরের স্ত্রী আয়েশা বেগম (৪৫)।
এবং ঐ ফসলি জমিতে কোর্ট নোটিশ থাকা অবস্থায় আলেম হাওলাদার ক্ষেত্রের ফসল কেটে নেয়। যেখানে উল্লেখ আছে সম্পত্তিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখা জন্য কোন বিঘ্নিত না হয়। সেখানে কিভাবে এই কাজটি করে আলেম হাওলাদার। আর এই পেক্ষিতেই বাধা দিতে গেলে আসিফ ফকির ও তার মা আয়েশা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে।
আয়েশা বেগম বলেন, শস্যখেত আমাদের, আমাদের শস্য ক্ষেত্রে আলেম হাওলাদার জোরপূর্বক ভাবে ফসল কাটে। তিনি আরো বলেন, আমাদের ফাঁসানোর জন্য আলেম হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি তার মাথা নিজেরা বে¬ড দিয়ে কেটে আমাদের নামে মামলা দেবার পায়তারা করছে।
এছাড়াও আলেম হাওলাদার মানুষদের ভয়ভীতি ও নিজেদের মাথা নিজেরা কাটিয়ে অন্যদের মামলার ভয় দেখিয়ে জমি দখলের পায়তারা করে চলছে।তার ভয়ে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। আর কিছু হলেই বলে আমি আমার স্ত্রীর মাথা কেটে তোদের মামলা দিয়ে দিবো। এমনি ঘটনা করে চলছে দীর্ঘদিন যাবত। স্হায়ীও বিচারকরা উভয়ই পক্ষেকে মিমাংসা করে দিলেও তাদের কথা অমান্য করে আলেম হাওলাদার আবারও এই সকল কান্ড করে চলছে।
স্হানীয়ও লোকজনের তথ্য অনুযায়ী জানা গেল,আলেম হাওলাদার দীর্ঘদিন যাবত নিজের মাথা নিজেরা কেটে মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আলেম হাওলাদার এর ছোট ভাই লুৎফর হাওলাদার এর স্ত্রী বকুল বেগম বলে,আমার স্বামী মারা যাওয়ার পরে আমি বাড়ি বাড়ি কাজ করি আর এই জমিটুকু চাষ করে আমার ছেলে মেয়ে দুমুখো খেয়ে বাঁচার চেষ্টা করে চলছি কিন্তু আমার (ভাশুর)আলেম হাওলাদার আমাকে ভয় দেখি বলে তোরে কোন জমি দিবোনা যদি তুই আমার কথা না শুনোছ আর আমি সেই ভয়ে তার কথা শুনি এবং সে বেলেট দিয়ে আমার মাথা কাটে তাঁরপর কালাম হাওলাদার নামে মামলা দেয় এই ভয়ে কালাম হাওলাদার তার দলিলকৃত জমি দলিল করে দেন আলেম হাওলাদারকে।এছাড়াও আমার ভাশুর আলেম হাওলাদার গরীব ও অসহায় মানুষদের মামলা দেওয়ার কথা বলে টাকা নেয়। আমি সরকারের কাছে আলেম হাওলাদার এর বিচার চাই।
আসিফ ফকির(২০),পিতা-মিন্ট ফকির সাং পূর্ব দাড়াদিয়া,পোঃ বান্ধব দৌলতপুর গত ১০/০৩/২০২১ তারিখে অফিস ইনচার্জ রাজৈর থানায় ৩/৪জনকে অভিযুক্ত করা হয়। যে ৪ জনের নামে অভিযোগ করা হয়েছে তারা হলেন- রাজৈর থানার পূর্ব দারাদিয়ার গ্রামের
মৃত সাহেদ হাওলাদার ছেলে ১.আলেম হাওলাদার (৫৮)। ২.নুর হোসেন খা(৩৮),পিতা,মৃত্যুঃ মতি খা ৩.সজিব হাওলাদার (২৪),পিতা আলেম হাওলাদার ৪.খলিল হাওলাদার (৫০),পিতা-মৃত্যু সাহেদ হাওলাদার। আরো অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চার জনকে আসামি করে সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আলেম হাওলাদার এর কাছে জানতে চাইলে আলেম হাওলাদার বলেন,আমার জমি আমি কোলোই কাটবো। এবং মাথা কাঁটার বিষয়ে জানতে চাইলে বলে এলাকায় সকল লোক মিথ্যা কথা বলে।আমি আমার ভাইয়ের মেয়ের জমিজমা নিয়ে কাজ করি।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শেখ সাদি জানান,উভয়পক্ষের পাল্টা মামলা করছে আর এই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।