ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
একাধিকবার গর্ভধারণ ও অবাধ মিলনের পর গর্ভনিরোধক বড়ি খেয়ে ঘটে যায় চরম বিপদ৷ পরিণতি কখনও মৃত্যু বা পরবর্তী সময় সন্তানধারণে সমস্যা৷
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল গর্ভনিরোধক এমএম কিট ট্যাবলেট খেয়ে ৬ সন্তানের জননীর মৃত্যু অভিযোগ উঠেছে।
কাউকে কিছু না-জানিয়েই এলাকার গ্রাম্য মহিলা চিকিৎসকের কাছ থেকে ভ্রূণ নষ্ট করার ওষুধ এনে খেয়েছিলেন সোহেদা নামের গর্ভবতী এক মহিলা। পরেই পেটে প্রবল ব্যথা শুরু হয় তাঁর। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
মঙ্গলবার( ৯ মার্চ) রাত ৯টায় দিকে হাসপাতালের নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাইজুর রহমান ফয়েজ সোহেদার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সোহেদা(৩৫) সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি গ্রামের আনোয়ার মিয়ার স্ত্রী। ওই মহিলার ৬ ছেলেমেয়ে ছিল।
তার স্বামী আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গতকাল পাশের বাড়ির এক মহিলার কাছে থেকে জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালসের এমএম কিট ট্যাবলেট এনে খায় তার স্ত্রী সোহেদা। খাওয়ার পর থেকে সোহেদার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়৷ বিকেলে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সোহেদা মারা গেছেন বলেন ডাক্তার জানান।
মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে মহিলাটি মারা গেছে। এসব গর্ভপাতের ওষুধের জন্য এখন আর গাইনী ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন মনে করেন না রোগীরা। যার কারনে সহজেই ফার্মেসির দোকানদারের কাছে গর্ভপাতের ঔষধ চাইলেই তারা এটা দিয়ে দিচ্ছে। গর্ভপাত করতে গিয়ে অকালে জড়ে যাচ্ছে প্রসূতি মায়ের জীবন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল আলম জানান, ওষুধ খেয়ে কেউ মারা গেছেন বলে জানা নেয়। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে। এব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি।
((বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন-
আনোয়ার মিয়া (স্বামী)
মোবা-০১৭৬৩-৪১৩৩৮৯))