অনলাইন ডেস্ক:
নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাই কমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণ দিবসের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রবিবার (০৭ মার্চ) নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এ তথ্য জানায়।
এ উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তারপর তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং আগত অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এই ভাষণটি ছিল একটি পরাধীন জাতির মুক্তির দিকনির্দেশনামূলক, অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তব্য। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের নির্দেশনা থেকেই মুক্তিপাগল বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং চূড়ান্তভাবে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ১৮ মিনিটের বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ দিক বিশ্লেষণ করেন এবং ইউনেস্কো কর্তৃক ২০১৭ সালে ভাষণটি বিশ্বের অন্যতম সেরা ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতির প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, আমরা সৌভাগ্যবান যে, বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও তাঁর আদর্শের উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনেই স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব পালন করতে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
৭ মার্চ উপলক্ষে দূতাবাসে সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা এ সময়ে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রর্দশন করেন। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।