অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে ৪০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসবে বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র। এর আগে অবশ্য গত রবিবার এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।
মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, গত মাসে ৩০ লাখ ডোজ টিকা কম আসার বিষয় নিয়ে এরই মধ্যে বেক্সিমকোর সঙ্গে তারা কথা বলেছে। বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ মাসে তারা চেষ্টা করবে গত মাসের ঘাটতির ৩০ লাখ এবং চলতি মাসের ৫০ লাখসহ মোট ৮০ লাখ পাওনা টিকার মধ্যে যতটা সম্ভব এনে দিতে।
বেক্সিমকো ফার্মার একটি সূত্র জানায়, তারা চেষ্টা করেও সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে চাহিদা অনুযায়ী টিকা পাচ্ছে না। সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদন করে কুলাতে পারছে না। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাদের চুক্তি রয়েছে, কিন্তু সে অনুযায়ী সরবরাহ দিতে হিমশিম খাচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট। একই কারণে কোভ্যাক্স থেকেও টিকা আসতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র। কোভ্যাক্সের আওতায় প্রথম ধাপে কোন দেশ কত টিকা পাবে, তার তালিকা গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তালিকা অনুযায়ী আগামী মে মাসের মধ্যে বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক কোটি ৯ লাখ আট হাজার ডোজ টিকা পাবে। এদিকে দেশে টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে নিবন্ধনে কড়াকড়িকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকার এখনো ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা পৌঁছাতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে করণীয় ঠিক করতে আজ বুধবার টিকাসংক্রান্ত সরকারি নীতিনির্ধারণী একটি সভা ডাকা হয়েছে। এই সভা থেকে নতুন কিছু সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, বেক্সিমকো ও কোভ্যাক্সের মাধ্যমে কিছু কিছু করে টিকা আসার কথা রয়েছে, তবে ঠিক কবে কী পরিমাণে আসবে, তা সঠিকভাবে জানা নেই। নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, কাল (আজ) একটি সভা হবে, সেখানে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।