ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: মুক্তাগাছায় ৫ বছরের এক শিশুর কন্যার লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।। শহরের পাড়াটঙ্গী এলাকার একটি মসজিদের কোণায় ৫ বছরের ফুটফুটে শিশু কন্যা সুচী আক্তারের অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ১৬ ঘন্টাপর লাশের পরিচয় মেলে।
কম্বল দিয়ে প্যাচানো অবস্থায় বৃহম্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। উদ্ধারের ১৬ ঘন্টা পর শুক্রবার দুপুরে শিশুটির পরিচয় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মুক্তাগাছা থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। শিশু কন্যা সূচী আক্তার জামালপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে।
থানা পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানায়, জামালপুর সদর উপজেলার মুসকিনি গ্রামের জিয়ার উদ্দিনের মেয়ে চম্পা আক্তারের ৬ বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার চিতলিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তার ঘরে এক কন্য সন্তানের জন্ম হয়। তার বয়স যখন ৪ মাস, তখন তার মা চম্পা আক্তার তার বাবাকে তালাক দিয়ে চলে যায়। সূচী আক্তার বড় হয় দাদী গোলেছা খাতুনের কাছে। এদিকে সূচীর বাবা সাইফুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ ঘরে রয়েছে দু’টি ছেলে সন্তান।
দেড় মাস আগে সূচীকে বাড়ির সামনে থেকে কৌশলে নিয়ে যায় মা চম্পা আক্তার। এর পর আর কোনো খবর রাখেন না সূচীর পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে চম্পা আক্তার সূচীর সৎ মা জরিনা খাতুনের মোবাইল ফোনে জানানো হয় তার মেয়ে ঢাকার কোনো একটি হাসপাতালে মারা গেছে।
সূচীর বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, সূচী আক্তারকে তার মা চম্পা আক্তার শ্বাসরোধে হত্যার পর তাদেরকে জানানো হয় তার মেয়ে মারা গেছে। দেড় মাস আগে তার মেয়েকে বাড়ির সামনে থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। তাদের ধারণা ছিল তার মেয়ে তার মায়ের কাছে আদরেই থাকবে। এ কারনে তারা আর খবর নেয়নি মেয়েটির।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মুক্তাগাছা থানার ওসি দুলাল আকন্দ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তার মা চম্পা আক্তার শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মসজিদের কোণায় ফেলে পালিয়ে যায়। চম্পা আক্তারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এর পরেই জানা যাবে ঘটনার প্রকৃত রহস্য।