অনলাইন ডেস্ক:
পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও কোস্ট গার্ডের সব সদস্যকে করোনাভাইরাসের টিকা (ভ্যাকসিন) নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী গত সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফোনে এই নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী এই চার বাহিনীতে কর্মরতদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এ ব্যাপারে আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চার বাহিনীর প্রধানদের আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেওয়া হবে। গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একাধিক সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার টিকা সম্পর্কে বলেছেন, হাতে ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে। পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা জীবন বাজি রেখে মানুষের জন্য কাজ করছেন। তাঁদের সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। তাই প্রতিটি সদস্য যাতে টিকা নেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে টিকা দিতে হবে পরিবারের সদস্যদেরও। তাহলে তারাও সুরক্ষা পাবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সূত্রটি জানায়, নির্দেশ পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিষয়টি নিয়ে তাঁর মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশ ‘অফিশিয়াল অর্ডার’ হিসেবে সংশ্লিষ্ট চার বাহিনীর প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে।
প্রাথমিকের সব শিক্ষককে টিকা নিতে বললেন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের করোনা টিকা নিতে বলেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ের ক্লিনিকে করোনা টিকা নেওয়ার পর তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) গতকাল (সোমবার) এবং এর আগেও আমাকে ফোন করে বলেছেন—তোমার সব শিক্ষককে টিকা দিয়ে নাও, যেহেতু আমরা যেকোনো সময় স্কুল খুলে দেব; যাতে আমার কোনো শিক্ষক টিকার আওতার বাইরে না থাকে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রায় চার লাখ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্য দেশের চেয়ে অনেক আগেই এ দেশে ভ্যাকসিন নিয়ে আসায় আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’
কবে নাগাদ প্রাথমিক শিক্ষকদের টিকা দেওয়া শুরু হবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকদের টিকার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা যেকোনো সময়, আজ (মঙ্গলবার) থেকে সাত দিনের মধ্যে টিকা নেওয়া শেষ করব। আমি নিজেও নিয়েছি, আমাদের সচিবালয়ের সবাই নিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আমার কাছে খুব স্বাভাবিক মনে হলো। আমার শিক্ষকদের, আমার মন্ত্রণালয়ের আওতায় যাঁরা আছেন, ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁরা পড়বেন, তাঁদের টিকা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’