কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুরের বাহির বোয়ালদহ গ্রামের জনৈকা সেফালী খাতুনের বাড়ীতে কুষ্টিয়া মাদক দ্রব্যনিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি অভিযানিক দল সেখানে অভিযান চালিয়ে ঘরতল্লাশীর নামে ষ্ট্রিলের আলমারি থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার হয়েছে বলে ভুক্তভুগিরা অভিযোগ করেছে। তবে অভিযানের কথা স্বীকার করলেও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান, কুষ্টিয়া মাদকদ্রব্যনিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরেরঅভিযানিক দলের প্রধান ইন্সেপেক্টার বেলাল হোসেন ও তার সহযোগি এসআই সানোয়ার হোসেন। তবে অভিযানের সময় বাহের বোয়ালদহ গ্রামের মাদক, অস্ত্র, বোমাসহ নানা অপকর্মের হোতা জাকির হোসেন, সাইফুল, রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর, শাহীন আলী ও তুহিন সে সময় অভিযানিক দলের সাথে থেকে ভুক্তভ’গি দুই সন্তানের জননীকে নানা হয়রানি করে বলে জানা গেছে। ভুক্তভ’গি ওই নারী এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলেও মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। পুলিশ তদন্ত করতে গেলেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মূখ বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে সুত্রটি জানায়। লিখিত অভিযোগ ওএলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বাহির বোয়ালদহ গ্রামের প্রদীপের স্ত্রী সেফলী খাতুন তার দুই কণ্যা সন্তান নিয়ে নিজ বাড়ীতে অবস্থান করছিল। এ সময় সোর্সের সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া মাদকদ্রব্যনিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানিক দলের প্রধান ইন্সেপেক্টার বেলাল হোসেন ও তার সহযোগি এসআই সানোয়ার হোসেন ওই বাড়ীতে অভিযান চালায়। অভিযান কালে মাদকদ্রব্যনিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পুলিশসহ আরো৭/৮ জন বহিরাগত ওই বাড়িতে প্রবেশ করে। সে সময় ঘর তল্লাশী করার নামে আলমারীতে রক্ষিত নগদ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় হয়ছে বলে জানাগেছে। শুধু তাই নয় ওই মহিলাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতনও করে বহিরাগতরা। পরে তার ঘরে কোন কিছু না পেয়ে কৌশলে চলে আসে অভিযানিক দলটি। ভুক্তভুগি মহিলা জানান, তার ঘর তল্লাশীর নামে তার মেয়ে ও তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়। পরে প্রতিকার চেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় পরের দিন গত ২৪/১/২০২১ ইং তারিখে একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে মডেল থানার এএসআই আলমগীর(২) ও এসআই মাসুদ তদন্ত করে আসে কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন প্রতিকার পায়নি ভুক্তভুগি ওই নারী। এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্যনিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানিক দলের প্রধান ইন্সেপেক্টার বেলাল হোসেন জানান, তার স্বামী ও তিনি মাদক ব্যবসায়ী। ঘর তল্লাশী করা হয়েছে তবে কোন টাকা নেওয়া হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।মাদকদ্রব্যনিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানিক দলের সদস্য এসআই সানোয়ার হোসেনজানান, তল্লাশী করে টাকা নেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা। তবে তাদের সাথে আরো লোকজনছিল তারা কি করছে সেটা জানেন না বলে তিনি জানান। মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আহম্মেদ কবির জানান, বিষয়টি আগের ওসির সময়ের ঘটনা। তবে তিনি আবারও তদন্ত করে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার ও মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ভুক্তভ’গিসহএলাকাবাসী।