জবি প্রতিনিধি :
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা
হবে। এদিকে শিথিল করা হয়েছে ভর্তি আবেদনের যোগ্যতা। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষার
প্রাথমিক আবেদনে কোনো ফি নেয়া হবে না। পরে যাচাইয়ের মাধ্যমে যারা
দ্বিতীয়ধাপে নির্বাচিত হবেন তারা ৫০০ টাকা আবেদন ফি প্রদানের মাধ্যমে
পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবেন। বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত আহবায়ক
কমিটির সভা শেষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন এ তথ্যগুলো জানান। ড. ছাদেকুল আরেফিন জানান, পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে তাদেরকে অপশন দেয়া হবে সে কোথায় বসতে চায়। তার কাছের বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন ২০টি অপশন থাকবে। ২০টি অপশন অনুযায়ি তাদেরকে ঐ কেন্দ্রে বসতে দেয়া হবে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার
হোসেন বলেন, আমরা কোনো শিক্ষার্থীকে আবেদনের যোগ্যতা থেকে বঞ্চিত
করতে চাই না। আমরা চাই এবার যেন সবাই আবেদন করতে পারেন। সেজন্য
আবেদনের যোগ্যতা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ
বিষয়সহ আবেদন করতে ৭ পয়েন্ট লাগবে। কমার্সের ক্ষেত্রে সাড়ে ৬ এবং মানবিকের
ক্ষেত্রে উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ৬ থাকতে হবে। সভায় শেখ হাসিনা
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাড়া বাকি ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগন উপস্থিত
ছিলেন।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ
দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলনা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র
বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ
হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।