অনলাইন ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনে খুব ব্যাস্ত সময় কাটাবেন। এদিনই অন্তত ১২টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন তিনি। নতুন নির্বাহী আদেশগুলো হবে মহামারি, ভঙ্গুর অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আমেরিকার বর্ণবাদসংক্রান্ত। গতকাল শনিবার তাঁর একজন শীর্ষ সহযোগী এ খবর জানান।
বাইডেনের চিফ অব স্টাফ রন ক্লেইন হোয়াইট হাউসের নতুন সিনিয়র স্টাফের কাছে এক স্মারক পেশ করেন। স্মারকে তিনি উল্লেখ করেন, নতুন নির্বাহী আদেশগুলো হবে মহামারি, ভঙ্গুর অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আমেরিকার বর্ণবাদসংক্রান্ত। স্মারকে বলা হয়, এসব সংকটের জন্যই জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে যে আমেরিকা বাইডেন পাচ্ছেন, সে আমেরিকা করোনা মহামারিতে পর্যুদস্ত, অর্থনীতি ভঙ্গুর, বেকারত্ব চরম সীমায় গিয়ে পৌঁছেছে। এ ছাড়া ট্রাম্পের বিভাজননীতির কারণে তৈরি হওয়া সংকটও মোকাবেলা করতে হবে বাইডেনকে। এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সন্ত্রাসবাদের আশঙ্কা।
বাইডেনের দেওয়া আগের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শপথের প্রথম দিনই তাঁকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফেরার নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে হবে। ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে করা প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। এ ছাড়া রয়েছে নির্দিষ্ট মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো থেকে আসা লোকজনের প্রবেশের ওপর ট্রাম্পের জারি করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া। এদিনই বাইডেন এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন।
ক্লেইন বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ভয়ংকর ক্ষতিকর দিকগুলো শুধু উল্টে দেওয়াই নয়, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেন দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপও নিতে শুরু করবেন।
বাইডেনের অভিষেককে ঘিরে সহিংসতার আশঙ্কায় দেশজুড়ে নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসি কার্যত সমরাঙ্গনে রূপ নিয়েছে। এখানেই বুধবার দুপুরে বাইডেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।
সূত্র : রয়টার্স।