এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। বর্তমান সময়ে প্রতারণার বিভিন্ন ফাঁদ, যেমন চাকুরী দেওয়ার নাম করে সাধারন জনগণের সরলতার সুযোগ নিয়ে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেণীর সুযোগ সন্ধানী নব্য প্রতারক চক্র। এ ধরনের প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা সচেষ্ট।
এরই ধারাবাহিকতায় ১২/০১/২০২১ তারিখ ১২.১০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারা যায় যে, ‘‘মিম মিডিয়া এন্ড বিজনেস সেন্টার’’ নামক একটি কোম্পানি সাধারণ জনগণের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ১২/০১/২০২১ ইং তারিখ ১৯.৩৫ ঘটিকায় শাহআলী থানাধীন উক্ত অফিসে অভিযান পরিচালনা করে নিম্নোক্ত ০৩ জন প্রতারকদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
১। মোঃ আব্দুল মোমিন (৪০), জেলা-ঢাকা। ২। মোঃ মিলন মিয়া (৩৭), জেলা-ঢাকা।
৩। মোঃ আব্দুর রহমান (২৮), জেলা-লক্ষীপুর। এছাড়াও প্রতারকদের নিকট হতে ১৪ টি নিয়োগপত্র, ১১ টি টাকা জমাদানের রশিদ, ২১ টি বিভিন্ন ধরনের আইডি কার্ড, ০৩ টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, ২২ টি মোবাইল, ২২ টি ভিজিটিং কার্ড এবং নগদ-১৬,৭৩৪/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ভুক্তভোগীদেরকে উচ্চ বেতনের চাকুরি দেওয়ার কথা থাকলেও তাদের দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঝাড়ুদারের কাজ করিয়ে নিতো কিন্তুু বেতন পরিশোধ করতো না। ভুক্তভোগী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারার পর টাকা ফেরৎ চাইলে বা বেতনের দাবি করলে তাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে তাড়িয়ে দিত।
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, উক্ত চক্রটি রাজধানীসহ ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অফিস ভাড়া করে ভিন্ন ভিন্ন নামে বেনামে ভূঁইফোড় প্রতিষ্ঠান খুলে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে মধ্যশিক্ষিত বেকার ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল যুবক/যুবতীদের আকর্ষণীয় ও উচ্চ বেতনের চাকুরীর প্রলোভনের মাধ্যমে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ভুক্তভোগী জনসাধারণের কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো।
উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতারক সদস্যদের গ্রেফতার করার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
অদূর ভবিষ্যতেও এরুপ অসাধু নব্য প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোড়ালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।