সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
গত ১৭ নভেম্বর “সিরাজদিখানে সোলার স্ট্রীট লাইট স্থাপনে অনিয়মের অভিযোগ” শিরোনামে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর গত দুই মাসেও অনিয়মের ব্যপারে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। এমনকি সোলার স্ট্রীট লাইটখানা গ্রামীন জণপদে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে স্থানান্তর না করে পূর্বের স্থানেই বহাল রাখতে দেখা যায়! স্ট্রীট লাইটের অনিয়মের বিষয়টি আমলে না নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন না করায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানায়, সিরাজদিখান উপজেলা বিকল্পধারার যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম মিন্টু স্থানীয় ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে লাইটটি রাস্তার তথা জনপদের পরিবর্তে তার রাজনৈতিক জীবনের গুরু কোলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম শাজাহান খানের বাড়ীতে নিয়ে স্থাপন করেন।
স্থানীয় সাংবাদিকরা অনিয়মের বিষয়টি দেশবাসীর সামনে তুলে ধরলেও রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন অন্ধ সেজে বসে আছেন! স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোলার কবরস্থান ও মানুষ চলাচলের অনেক জায়গায় সোলার লাইট নেই। এ লাইটটি যদি সেসকল জায়গায় নিয়ে বসানো যেতো তাহলে আমরা উপকৃত হতে পারতাম। লাইটি আগের জায়গা থেকে সরিয়ে রাস্তায় নিয়ে বসানো হয়নি। প্রভাবশালীরা যদি এভাবে অনিয়ম করে বহাল থাকে তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? কোলা গ্রামের বাসিন্দা টুটুল নামে এক যুবক বলেন, গতকাল রাতেও লাইটটি মৃত শাহ জাহান চেয়ারম্যানের বাড়ীতে লাগানো অবস্থায় দেখেছি। আসলে কেন লাইটটি সরানো হলো না সেটা সবাই জানে! কারণ তিনি নাকি এমপির লোক। কথায় কথায় তিনি এমপির নাম বলেন। সে কারণে হয়ত তার কথাই বহাল থাকলো! অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম মিন্টুর মুঠোফোনে ফোন করে লাইটটি কেন সরানো হলো না জানতে চাওয়া হলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কুরুচিপূর্ণ আচরণ করে বলেন লাইটের বিষয় মেম্বারের সাথে আলাপ করেছি। কোন মেম্বারের সাথে তিনি আলাপ করেছেন জানতে চাওয়াা হলে কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। এমনকি লাইটটি স্থানান্তর করতে স্থানীয় কোন ব্যক্তির সাথে কোন পরামর্শ না করে তিনি তার সিদ্ধান্তে অটুট রয়েছেন বলে স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মাহি বি চৌধূরি দেশে না থাকায় তার পিএস মো. সোহাগ জানান, আমি আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি দেখছি। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদে সিরাজদিখান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিসে গিয়ে সাংবাদিককে ঘটনাস্থলের সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে বলেন এবং তিনি বিষয়টি দেখবেন মর্মে বক্তব্য প্রদান করেন। প্রকাশিত সংবাদের বক্তব্য নেওয়ার সময় মুঠোফোনে তাকে ঘটনাস্থলের বিবরণ এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির তথ্য দেওয়া হলেও দুই মাসেও কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করতে দেখা যায়নি।
সিরাজদিখান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আইমিন সুলতানা জানান, যদি লাইটটি ব্যক্তি স্বার্থে বসানো হয়ে থাকে তখন বিষয়টি দেখা যাবে।