সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : গত ১০/০১/২০২১ ইং তারিখ সোমবার কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত একটি স্থানীয় পত্রিকায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির লিপটনকে জামায়াত নেতা ও চরমপন্থী নেতা বানানোর অপচেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির লিপটন। এক বিবৃতিতে তিনি এহেন সংবাদকে উদ্দেশ্যমূলক আখ্যা দিয়ে বলেন,আমার পিতা আজিজুর রহমান একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান,আওয়ামী পরিবারের সন্তান। ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলাম। ১৯৯৬-৯৭ সালে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজে সন্মান ১ম বর্ষে ভর্তি হয়ে ছাত্রসংসদের ক্রীড়া সম্পাদক ও পরবর্তীকালে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। ছিলাম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।আমরা গর্বিত পিতার সন্তন। আমরা তিন ভাই। আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্য উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। ছোট ভাই আলমগীর কবির ২৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে রাজশাহীতে কর্মরত রয়েছেন। পালন করছে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তাকে নিয়েও অপপ্রচার চালাচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা। বড় ভাই ব্যবসায়ীক। তাকে নিয়েও কুৎসা রটনা করা হচ্ছে। জান ও মালের নিরাপত্তার জন্য লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি সংবাদে ব্যবহার করে তারও মান সন্মান ক্ষুন্ন করছে ষড়যন্ত্রকারীরা। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমাকে দেয়া হয়েছে চরমপন্থী নেতার তকমা। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙিয়ে করছি অপকর্ম,জড়িত অস্ত্রব্যবসার সাথে,দীর্ঘ সময় আমি নাকি ভারতে পলাতক ছিলাম,আমি নাকি টেন্ডারবাজী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের হত্যার হুমকি দিয়ে চাঁদাদাবি করি।এখন আমার প্রশ্ন হলো আমি যদি কোন অপরাধী হতাম তাহলে সামাজিক অঙ্গন থেকে রাজনৈতিক অঙ্গন পর্যন্ত আমার অবাধ বিচরণ থাকতো না। ভারতে নয় আমার পিতৃালয় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার দুর্বাচারা। সেটাই আমার গ্রাম। আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আমি সবসময় চরমপস্থী দমনে র্যাব ও পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি। এটাই কি আমার অপরাধ? এখন আমাকে বলা হচ্ছে অস্ত্র ব্যবসায়ী? কোন অপরাধের সাথে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি সৎ জীবন যাপনে অভ্যস্ত। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে আমার কোন আয়ের উৎস নেই।অথচ আমি একজন ব্যবসায়ী,ঢাকায় স্টকলর্ড ব্যবসা আমার জীবিকা। মিরপুরের ডিএইচ,এস ভবনে আমার অফিস। সব সময় টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে কাজ করেছি। টেন্ডারবাজদের বিরুদ্ধে সৎ সাহস নিয়ে কথা বলায় আমাকে পড়তে হয়েছে রোষানলে। ২০০৬ সালের পর থেকে চরমপস্থী দমনে পুলিশ ও র্যাবকে সহযোগিতা করেছি। তৎকালীন পুলিশের খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মিন্টু সাহেবের সাথে চরমপন্থী অভিযানে সহায়ক হিসেবে অংশ নিয়েছি। এক সময় পুলিশ ক্লাবের ভেতর দিনের পর দিন সময় পার করেছি। আর এখন আমাকে বলা হচ্ছে আমি নাকি ডিএসবি তালিভুক্ত শীর্ষ চরমপন্থী দলীয় নেতা।সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তি ফৌজের সাথে আমার সখ্যতা ছিল। আমি বিশ্বাস করি একজন চরমপন্থী নেতার সাথে কোন আদর্শবান ব্যক্তির সম্পর্ক থাকতে পারে না। তাই আমার বিরুদ্ধে চরমপন্থীসংগঠনেরসাথেসখ্যতাথাকারঅভিযোগভিত্তিহীন।
জাহাঙ্গীর কবির লিপটন বিবৃতিতে বলেন,কোন কালেই ডিএসবির তালিকায় আমার নাম ছিল না। কুষ্টিয়া বা আশে পাশের কোন জেলায় আমার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। সংবাদে যা যা উল্লেখ করা হয়েছে তার সবটুকু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত,ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। বাস্তবে কোন মিল নেই।তিনি বলেন,আমি অন্যায়ের সাথে সব সময় আপোষহীন। এই জেলার মানুষ যাতে সবসময় শান্তিতে বসবাস করতে পারে সেই চেষ্টা করেছি,টেন্ডারবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছি,সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান একজন আওয়ামী পরিবারের সস্তান কখনো অপরাধী হতে পারে না,অপরাধ করতে পারে না। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কে বা কারা আমার পেশাগত,সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। সেই সাথে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলতে চাই,আপনারা সমাজের আয়না,জাতির বিবেক। তাই উদ্দেশ্যমূলক নয় সঠিক তথ্য নিরুপন করে তা যাচাই বাছাই করে সংবাদ প্রকাশ করুন।