কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
আগামী ১৬ জানুয়ারী দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত হবে কুষ্টিয়া পৌর সভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে প্রার্থীরা তাদের প্রচারণা শুরু করেছেন। তবে বেশির ভাগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ। সম্প্রতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবর কুষ্টিয়া পৌর ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম মোস্তফা লাবলুর বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন একই ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কিশোর কুমার ঘোষ জগত। লিখিত অভিযোগে কিশোর কুমার ঘোষ জগত উল্লেখ করেছেন যে তিনি কুষ্টিয়া পৌর ১০নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে উট পাখি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন। একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম মোস্তফা লাবলু পাঞ্জাবী প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে। অথচ লাবলু ক্ষমতার অপব্যবহার করে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছেন। তিনি ছোট বড় ১৫টি নির্বাচন ক্যাম্প স্থাপন করেছে। সন্ধ্যার পরে সেসব ক্যাম্পে উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স ও মাইক বাজিয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে। তাছাড়া সরকারী গড়াই আবাসন প্রকল্পের কমিউনিটি সেন্টারের ঘর দখল করে, ঘরের দেয়ালে পোষ্টার সেঁটে নির্বাচনী ক্যাম্প করে নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করার অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া রাত ১১টার পর আক্রমনাস্ত ভ’মিকা নিয়ে উস্কানি মূলক শ্লোগান দিয়ে মিছিল করছে। এবং মিছিল শেষে আমার সমর্থকদের বাড়ির টিনের চালে ঢেল ও থাবা মারছে।
শুধু তাই নয় আমার সমর্থকদের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার হুমকি প্রদান করছে। রুস্তমসহ বেশ কয়েকজনকে ১৬ জানুয়ারী রাতে হাত-পা ভেঙে পরের দিন ঢাকা পিজি হাসপাতালে বুক করা ১০টি সিটে শুইয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে।
কিশোর কুমার ঘোষ বলেন, গোলাম মোস্তফা লাবলুর আচরণ বিধি লঙ্ঘনে আমি শংকিত ও আতংকিত। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে র্যাব ও পুলিশের কাছে অস্ত্র/মাদক সহ আটক সন্ত্রাসীরা লাবলুর পক্ষে ভীতকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে ও আমার ধর্র্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানছে। আমি আমার বিশ্বস্ত সুত্রে জানতে পেরেছি তারা নির্বাচনের আগের দিন ১৬ জানুয়ারী নির্বাচনের দিন সীমানাবর্তী কুমারখালী থানা ও বিভিন্নস্থান থেকে ভাড়াটিয়া বহিরাগত সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং নিয়ে ১০ নং ওয়ার্ডের সবগুলো কেন্দ্র দখল নিবে। লাবলু নিজে ও সমর্থকরা বলে বেড়াচ্ছে আইন, আচরণবিধী, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক নেতা ও সাংবাদিক তার কেনা। তাই সে যা খুশি তাই করতে পারে।
এ ব্যাপারে জানতে গোলাম মোস্তফা লাবলু সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলা রিটার্নিং অফিসার লুৎফুননাহার বলেন,এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবশ্যই তা যাচাই বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।