সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি :
রাত পোহালেই বড় দিন । আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত ১২ টা ১ মিটিটে প্রার্থনা মধ্য দিয়ে খ্রীষ্টান সম্প্রায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড় দিন শুরু হবে। বড় দিনকে ঘিরে মুন্সীগঞ্জ জেলার এক মাত্র খ্রীষ্টান পল্লী সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের শুলপুরে চলছে সাজসজ্জা তবে করোনার আতঙ্কে জনজীবন বেহাল। তাই এবার
বড় দিন সিরাজদিখানের খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মাঝে উচ্ছাসের কিছুটা ভাটা পড়েছে। আনন্দ কিছুট ভাটা পড়লেও অতিথিদের নিমন্ত্রন করা হচ্ছে মোবাইলের ম্যাসেজ, কার্ড আর পোষ্ট কার্ডে। অতিথি আপ্যায়নে কোন রকমের ক্রুটি না রাখতে রাখা হচ্ছে রকমারী সব পিঠাপুলির আয়োজন। বাড়ির সামনে সাজানো হচ্ছে ক্রিষ্টমাস ট্রি। অপেক্ষার দিনক্ষণ শেষ হতে বেশি সময় দেরি না হলেও জেলার একমাত্র খ্রীষ্টান পল্লীর পরিবারগুলো এখন মহাব্যস্ত। উপজেলার শুলপুর ‘সাধু যোাশেফ গির্জায়’ সাজানো হচ্ছে
দৃষ্টিনন্দন ঝলমলে আলোক সজ্জায় । গির্জার অভ্যন্তরের দৃষ্টিনন্দন ভাবে ডিসপ্লে করা হবে কুড়ে ঘরের অভ্যান্তরে মাদার মেরীর কোলে যীশু খ্রীষ্টের প্রতিচ্ছবি । প্রার্থনা করতে আগত পূণ্যার্থীদের
আগমন নিরবিচ্ছিন্ন করতে তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ ভলান্টিয়ার টিম । সব মিলিয়ে আগাম উৎসব চলছে জেলার একমাত্র খ্রীষ্টান পল্লী শুলপুর গ্রামে। সিরাজদিখান উপজেলার ৪ টি গ্রামের প্রায় ৩৮৫ টি পরিবারে উৎসব পালনের প্রস্তুতি চলছে। খ্রীষ্টান ধর্মালম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ২৫ ডিসেম্বর আর মাত্র ১ দিন বাকী। ‘সাধু যোাশেফ গির্জায়’ ফাদার লিন্টু ফ্রান্সিস ডি কস্টা বলেন,‘প্রতি বছর খুব সুন্দর আয়োজন করে আমরা বড় দিন পালন
করতাম । এ বছর কোভিট-১৯ এর কারনে আনন্দ কিছুট ব্যহত হলেও ইশ্বরের কাছে এ বছর বড় দিনে আমাদের প্রার্থনা থাকবে আমরা যেন কোভিট-১৯ থেকে মুক্তি পাই এবং দেশে যেন শান্তি বিরাজ
করে । এ দিনটিকে কেন্দ্র করে খ্রীষ্টান ধর্মালম্বীদের আয়োজন হয় অনেক বিয়ের। যে কারনে এই দিনকে কেন্দ্র করে সকল আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিও থাকে অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশী। তবে কোভিড
১৯ এর কারেন এ বছর বিয়ের আয়োজন নেই বললেই চলে । নির্বিঘ্নে ধর্মীয় এ উৎসব পালনের জন্য নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
কেয়াইন ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নয়ন রোজারিও জানান,‘এ বছর কোভিট ১৯ এর কারেন কেক কাটার অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে । প্রত্যেককে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের সার্বিক সহযোগীতা করছে । এ ব্যাপারে সিরাজদিখান ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক জানান, খ্রীষ্টান ধর্মাবলীদের সব চেয়ে ধর্মীয় বড় দিনের উৎসবকে যথাযথ ভাবে পালনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি এবং দুদিন আগ থেকেই সাদা
পোষাকে পুলিশ কাজ করছে ।