শাহরিয়ার শাকির, শেরপুর প্রতিনিধি :
দেশের সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলা ধান উৎপাদনের জন্য খুবই উপযোগী। খাদ্য উদ্বৃত্ত এ জেলার কৃষকরা আমন ধান কাটার পর এবার শুরু করে দিয়েছে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করার। ইতিমধ্যে ইরি-বোরো বীজতলা তৈরীর কাজ প্রায় শেষের দিকে।
পরপর তিন দফায় পাহাড়ী ঢল ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পরও শেরপুর জেলার কৃষকরা লক্ষ মাত্রার চেয়ে বেশী মোট ৯২ হাজার হেক্টর জমিতে এবার আমন ধানের আবাদ করেছিলো। ইতিমধ্যে আমন ধান কাটা প্রায় শেষ করেছে কৃষকরা। অনেকেই গোলায় ধান তুলেছে। ধানের দাম ভালো থাকায় কৃষকরা ধান চাষে খুবই আগ্রহী। এরই মধ্যে শেরপুর জেলার কৃষকরা ইরি-বোরো ধানের আবাদ করার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে।
জেলায় এবার ৯০ হাজার ৪শ ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করার লক্ষমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। আমন বীজতলা করার লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে কৃষকরা আমন বীজতলা তৈরীর কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে।
পাকুড়িয়ার কৃষক নাজমুল হক জানান, তারা আমন ধান কাটার পর, এখন ইরি বোরো ধানের আবাদ করার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছেন। চরশেরপুরের কৃষক আব্দুল মালেক জানান, আমরা ইরি ধানের আবাদ করার জন্য বীজতলা তৈরী করেছি। শীত উপেক্ষা করে আমরা ইরি ধান চাষের জন্য জমি প্রস্তুতি শুরু করেছি।
শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপপরিচালক (শষ্য) গোলাম রসুল জানান , তিন দফায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পরও জেলায় এবার আমনের লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছিলো। আশা করা হচ্ছে, এবারও ইরি-বোরো ধানের লক্ষামাত্রা পুরণ হবে। ইতিমধ্যেই জেলায় ৯০ভাগ ইরি-বোরো ধানের বীজতলা তৈরীর কাজ শেষ করেছে কৃষকরা।
কৃষকদের প্রত্যাশা আবহাওয়া অনুকোল থাকলে তারা লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবদ করতে পারবে। এমনটাই প্রত্যাশা জেলার কৃষি বিশেষজ্ঞদেরও।
প্রদানকারী শিক্ষক অলুপ কুমার রায়, তাঁর মেয়ে অনুশ্রী রায় এবং ছেলে অরণ্য রায়।
চেক প্রদান শেষে এক প্রশ্নের জবাবে চেক প্রদানকারী শিক্ষক অলুপ কুমার রায় বলেন, কোন কিছু পাওয়ার আশায় আমি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৬ মাসের বেতনের টাকা প্রদান করেননি। দু;স্থ অসহায় মানুষকে সহায়তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে এ টাকা প্রদান করেছি। তিনি করোনা প্রবণ উপজেলা হিসেবে গোবিন্দগঞ্জে করোনার চিকিৎসা কেন্দ্র এবং করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।