গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা জেলায় যততত্র গড়ে উঠছে লাইসেন্স বিহীন ইটের ভাটা। এতে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি জমি। অথচ দেখার কেউ নেই।
গাইবান্ধার ৭টি উপজেলায় ইটের ভাটা রয়েছে প্রায় ১৮০টি। অথচ এরমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রদত্ত নিয়ম-কানুন মেনে লাইসেন্স গ্রহণকারি ইটভাটা মাত্র ৩৫টি। ইটেরভাটা দেয়ার ক্ষেত্রে সমস্ত নিয়ম-কানুন উপেক্ষা করেই চলছে বাকি ইটভাটাগুলো।
জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ি ইটেরভাটা দেয়া যাবে বসতবাড়ি থেকে ৩ কি.মি. দুরে। এছাড়া আবাদি জমিতে ইটের ভাটা দেয়া যাবে না, ইট পোড়াতে হবে কয়লা দিয়ে এবং নির্ধারিত উচ্চতায় স্থায়ী চিমনী বসাতে হবে। এছাড়া সরকারের রাজস্ব বাবদ আয়কর ও কাস্টমস ট্যাক্স প্রদান করারও বিধান রয়েছে। এসব নিয়ম-কানুন মেনে আবাদি জমি নয় এতদসংক্রান্ত কৃষি বিভাগের সনদ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লাইসেন্স গ্রহণ করলেই শুধুমাত্র বৈধভাবে ইটভাটা দেয়া যেতে পারে। কিন্তু অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অধিকাংশ ইটভাটায় এসব নিয়ম মানা হচ্ছে না।
বেশীরভাগ ইটভাটার সামনে কয়লা মজুদ করে রেখে প্রকৃত পক্ষে কয়লার পরিবর্তে জ্বালানী কাঠ পোড়া হচ্ছে। এতে উজার হচ্ছে গাছপালা। কৃষির জমিতে ইটের ভাটা করার ফলে এবং ইট তৈরীর জন্য জমির টপ সোয়েলের মাটি কেটে নেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ওই জমিগুলো চিরস্থায়ীভাবে অনাবাদিতে পরিণত হচ্ছে। এছাড়া ইটভাটার তাপে এবং নির্গত ধোয়া ও ছাইয়ের দ্বারা আশেপাশের এলাকার মানুষেরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে বিপন্ন হচ্ছে জনস্বাস্থ্য। তদুপরি পার্শ্ববর্তী আবাদি জমি ও গাছপালাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ সমস্ত অবৈধ ইটভাটা সরকারের প্রাপ্য অর্থ পরিশোধ করছে না। ফলে আয়কর ও কাস্টমস ট্যাক্স বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।