নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁয় ঘন কুয়াশা সাথে বইছে হালকা হিমেল হাওয়া। একটানা কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা ও সেই সাথে হঠাৎ করেই হালকা হিমেল হাওয়ার কারনেই জেলা জুড়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। গত কয়েকদিন থেকেই আকাশ মেঘলার সাথে ঘন কুয়াশা আচ্ছন্ন হওয়ার কারনে সকাল থেকে দিনের কোন বেলাতে মিলছে না সূর্যের দেখা। এরি সাথে সোমবার থেকে হালকা হিমেল হাওয়ার কারনেই বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যা নামতে না নামতেই জেলার হাট-বাজার জনশূন্য হয়ে পড়ছে। রাতে তাপমাত্রা আরও কমে যায়। এতে স্বাভাবিক কাজ কর্ম বাধাগ্রস্থ হওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে খেটে খাওয়া কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষদের। এছাড়াও বিপাকে পড়ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।নিম্ন আয়ের মানুষরা গরম কাপড়ের জন্য ছুটছেন ফুটপাথের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) বিকালে নওগাঁ সদর ও মহাদেবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, একটু গরমের উষনোতার জন্য বয়স্করা কম্বল বা এজাতীয় গরম কাপড় জড়িয়ে গুটিসুটি হয়ে বসে আছেন। গবাদী পশুর গায়ে চট জড়িয়ে রেখেছেন পশু পালনকারীরা। পশুদের খাওয়ানো হচ্চে গরম পানি। শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতাল সহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল গুলোতে শীত জনীত অসুস্থ রোগীর সংখ্যা, তবে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি। এদের মধ্যে অধিকাংশই আমাশয়, নিউমোনিয়া, ডায়ারিয়া ও সর্দি জ্বড়ে আক্রান্ত।
নওগাঁর বদলগাছীতে অবস্থিত আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে নওগাঁ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলার মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া বাজারের মার্কেট মালিক সাজ্জাত হোসেন মন্ডল জানান, আজ সোমবার সকাল থেকে ঘন কুয়াশার সাথে ঠান্ডা বাতাস অনুভূত হচ্ছে যার ফলে শীতের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া জেলার সড়ক ও মহাসড়ক গুলোতে সকাল থেকে সারাদিন পর্যন্ত যানবাহন গুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।