বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বিশেষ ওএমএস (খোলা বাজারে আটা বিক্রি) তদারকিতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী নিলুফা ইয়াসমিন ও টিসিবির পণ্য বিক্রয় কেন্দ্রে নেই কোন তদারকি কর্মকর্তা । ডিলারদের নানা অনিয়ম ও অনৈতিক কর্মকান্ডে হয়রানির শিকার হচ্ছে নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষ । বেলা সাড়ে ১১টায়ও তদারকি ঔই নিরাপত্তা প্রহরী নিলুফা ইয়াসমিনকে ওএমএস (খোলা বাজারে আটা বিক্রি) তদারকিতে পাওয়া যায়নি। গতকাল রোববার (১৩-১২-২০) বেলা ১১ টায় শহরের আবুল হোসেন ঈদ গাঁ মাঠ সংগলœ বিশেষ ওএমএস (খোলা বাজারে আটা বিক্রয় কেন্দ্র) ওএমএস ডিলার জাহাঙ্গির হোসেন মনির এর গোডাউন ও তানিয়া স্টোরের মালিক টিসিবির ডিলার জসিম উদ্দিনের গোডাউনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (এনএসআই),র সদস্যরা । টিসিবির ডিলার তানিয়া স্টোরের মালিক জসিম উদ্দিনের গোডাউনে অভিযানের সময় ৫ লিটারী ২০ কার্টুন সয়াবিন তৈল, ৯ বস্তা চিনি ও পিঁয়াজ নিয়ম বর্হিভূত ভাবে স্টক করে রাখতে দেখা যায়। অপরদিকে ওএমএস ডিলার জাহাঙ্গির হোসেন মনির এর গোডাউন এ সময় বন্ধ পাওয়া যায়। পরে প্রশাসনের ফোন পেয়ে মনির দুপুরে গোডাউনে আসে। এ সময় তার গোডাউনে ৬ বস্তা আটা স্টকে পাওয়া যায় । এর মধ্যে ১ বস্তা খোলা ৫ কেজি আটা কম। এছাড়াও ওএমএস ডিলার জাহাঙ্গির হোসেন মনির জেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারি খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো.শাহাবুদ্দিন আকন্দ স্বাক্ষরিত স্মারক নম্বর ছাড়া একটি বরাদ্দ আদেশ প্রর্দশন করে অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের সামনে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা গোয়েন্দা শাখা (এনএসআই) এর যুগ্ম-পরিচালক -মো.লুৎফর রহমান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট- এনডিসি এনামুল হাসান , ডিবি ,ডিএসবি,র প্রতিনিধিরা। তবে এই ঘটনায় এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি স্থানীয় প্রশাসনকে।
গোডাউনে পর্যাপ্ত তেল ,চিনি ও ডাল থাকতেও এর পূর্বে ঐ দিন সকাল ১০ টায় শহরের আবুল হোসেন ঈদ গাঁ মাঠ টিসিবির পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র তানিয়া স্টোরের মালিক টিসিবির ডিলার জসিম উদ্দিনকে টিসিবির ব্যানার ছাড়া শুধু তিন বস্তা পিঁয়াজ বিক্রি করতে দেখাযায়। সাধারণ নিন্ম আয়ের মানুষ টিসিবির সকল পণ্য না পাওয়ায় শুধু পিয়াজ কিনে হতাশ হয়ে ফিরে যায় । তদারকি না থাকায় স্থানীয় প্রশাসনের নির্ধারিত স্থানে টিসিবির পন্য বিক্রি না করায় বরগুনার নিন্ম আয়ের মানুষেরা এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাধাঁগ্রস্ত হচ্ছে সরকারে উন্নয়ন কর্মসূচি। মহামারি করোনা ভাইরাস দূর্যোগকালীন সময় পৌরসভাস্থ নিন্ম আয়ের মানুষে জন্য ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চালু করা হলেও ডিলারগন তা গ্রামগঞ্জে হাটে বাজারে বিক্রি করছে। করোনা ভাইরাস দূর্যোগকালীন সময় পৌরসভাস্থ নিন্ম আয়ের মানুষে জন্য ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চালু করা সরকার। তবে ডিলারদের নানা অনিয়মে ব্যাহত হচ্ছে এর সফলতা।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. শাহাবুদ্দিন আকন্দ প্রতিবেদকে বলেন, কোন অনিয়ম হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেব। ০১৭২৬৮৪৯০২১
বরগুনা-পটুয়াখালীর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন এর সহকারি পরিচালক মো.সেলিম আহম্মেদ বলেন, ০১৭১২৮২১২৬০ এ ধরনের ঘটনা ঘটলে ভোক্তারা অধিকার বঞ্চিত হয় ।এ ধরনের কোন অনিয়ম হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট- এনডিসি এনামুল হাসান বলেন ,০১৭৩৩৩৪৮০০৭ এখানে বিধি বর্হিভূত ভাবে পন্য স্টক করে রাখা হয়েছে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব।
এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা শাখা (এনএসআই),র যুগ্ম-পরিচালক-মো.লুৎফর রহমান বলেন- বিশেষ ওএমএস ডিলার জাহাঙ্গির হোসেন মনিরের গোডাউন রেজিষ্টারের স্বাক্ষরে মিল নেই ও টিসিবির ডিলার জসিম উদ্দিনের গোডাউনে প্রচুর নিত্যপন্য নিন্ম আয়ের মানুষকে না দিয়ে স্টকে রাখা । এখানে ২ ডিলারের গোডাউনে ব্যাপক অনিয়ম দেখা গেছে, আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব।
উল্লেখ্য মহামারি করোনা ভাইরাস দূর্যোগকালীন সময় পৌরসভাস্থ নিন্ম আয়ের মানুষে জন্য ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চালু করে অব্যাহত রেখেছে সরকার ।