কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
গত ৫ ডিসেম্বর দিপ্ত টেলিভিশনের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র সরকার ও ক্যামেরাপার্সনের হারুন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। এতে গুরুতর আহত হয় দেবেশ চন্দ্র সরকার ও ক্যামেরাপার্সনের হারুন। দেবেশ চন্দ্র সরকার প্রাথমিক চিকিৎসা নেন এবং ক্যামেরা পার্সন হারুন এখন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলার পর রাতে কয়েকজন সংবাদকর্মী কুষ্টিয়া মডেল থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। পরবর্তীতে রাতেই কুষ্টিয়া মডেল থানায় কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ আহাম্মেদ সহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ কে আসামি করে মামলা রুজু করা হয়। যার মামলা নং-৯ তারিখ ০৬/১২/২০২০ইং। এদিকে এই মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে দেশের বেশকয়েকটি জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এই ঘটনার পর ১০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৭ টার দিকে এ্যাড. আহসান উল্লাহ সড়কে হাঁটাহাঁটি করার সময় দুই মোটরসাইকেল যোগে ৪ জন দেবেশের গতি রোধ করে। এবং তার নাম জানতে চাই সে দেবেশ চন্দ্র সরকার কিনা ও দীপ্ত টেলিভিশন এর রিপোর্টার কিনা। দেবেশ চন্দ্র সরকারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। বলে শালা হিন্দুর বাচ্চা তুই খুব বেড়ে গেছিস। তোমার সাংবাদিকতা …. মধ্যে ঢুকিয়ে দেবো। এত বড় ক্ষমতা হয় কিভাবে তোর। যে হাত দিয়ে তুই সাংবাদিকতা করিস সে হাত তোর শরিরে থাকবে না। তোকে দেশ ছাড়া করবো। তোর দেশ বাংলাদেশ না তোদের দেশ ইন্ডিয়া বলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে দেবেশ চন্দ্র সরকার। জিডি নং-৬০৭ তারিখ ১০/১২/২০২০ইং। এ বিষয় নিয়ে ১০/১২/২০২০ তারিখ রাতে দেবেশ চন্দ্র সরকার বিভিন্ন ফেসবুক লাইভে এসে অক্ষেপ করে। জানা যায় দেবেশ চন্দ্র সরকার আজ কুষ্টিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। তবে কোথায় গেছেন এবিষয়ে কিছু জানা যায় নি।উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর দিবাগত গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙে। সে ঘটনায় ৫ ডিসেম্বর বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদের ঝড় তুলেন। সেই দিনই কুষ্টিয়া মজমপুর গেট এলাকায় এস বি পরিবহন গাড়ি ও কাউনন্টার ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারণ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন দীপ্ত টেলিভিশনের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র সরকার ও ক্যামেরা পার্সন হারুন।