শেরপুর প্রতিনিধি :
করোনা আক্রান্ত স্বামীর মৃত্যুর ৪ ঘন্টা পর মারা গেলেন স্ত্রীও। শেরপুর শহরের মাধবপুর এলাকায় ৯ ডিসেম্বর বুধবার মর্মান্তিক এমন ঘটনা ঘটে। কিডনী ও শ^াসকষ্ট জটিলতায় গত ২৮ নবেম্বর রাজধানী ঢাকার কিডনী ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি হন শহরের অভিজাত কসমেটিক্স সামগ্রীর দোকান বর্ণালী’র প্রতিষ্ঠাতা রফিকুর রহমান (৬৩)। পরে তার করোনা শনাক্ত (কভিড-১৯) হলে কুমিটোলা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ৯ ডিসেম্বর বুধবার ভোর ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। এদিকে, শ^াসকষ্টের জটিলতায় গত ৪ দিন ধরে রফিকুর রহমানের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন (৫২) শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মঙ্গলবার করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বুধবার তার অবস্থার অবনতি হলে সকাল ১০টার দিকে জেলা হাসপাতাল থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেওয়ার জন্য তাকে অ্যাম্বুলেন্সে উঠানো হয়। স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ তাকে জানানো না হলেও অ্যাম্বলেন্সে উঠানোর পরই তার মৃত্যু ঘটে। এক ছেলে এক মেয়ের জনক রফিকুর-আম্বিয়া দম্পতির মৃত্যুতে শহরজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। বিকেলে স্বামী-স্ত্রীর লাশ বাড়ীর আঙিনায় রাখা হলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। দুই সন্তান, পরিবারের সদস্য, শুভাকাংখীদের কান্না আহাজারীতে সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। রফিকুর রহমান ছিলেন শেরপুরের সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রয়াত পন্ডিত ফসিহুর রহমানের দ্বিতীয় ছেলে এবং শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শরিফুর রহমানের বড় ভাই। সদালাপী, সজ্জন, সংস্কৃতিবান, মিশুক রফিকুর-আম্বিয়া দম্পতির এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে উপস্থিত সকলেই কন্ঠেই আফসোস ঝরতে থাকে। তাদের মৃত্যুতে হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীল রুমান, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর প্রেসক্লাব, সাংবাদিক বিপ্লবী রবি নিয়োগী সভাকক্ষ পরিচালনা পর্ষদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। রাত ৮ ঘটিকায় শেরপুর শহরের তেরাবাজার জামিয়া সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসা মাঠ নামাজে জানাযা শেষে চাপাতলি পৌর কবরস্থানে দু’জনের লাশ দাফন করা হবে।