কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
‘আইজ খুব ঠান্ডা বাহে, জটিল ঠান্ডা! রাইতোত আরও বেশি আছিল, শীতত (কুয়াশায়) কিছুই দেখা যায় না!’ এলাকায় শীতের তীব্রতা বাড়ার বিষয়ে এভাবেই জানাচ্ছিলেন জেলার সদর উপজেলার ভোগডাং গা ইউনিয়নের ধরলা অববাহিকার জগমন চর এলাকার বাসিন্দা মো আলী হোসেন। গত কয়েকদিন ধরে কুয়াশা বাড়তে থাকায় জেলায় শীতের তীব্রতাও বাড়ছে। রাতের বেলা কুয়াশায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে গেলেও দিনে ঠান্ডা কিছুটা কমছে। জেলার রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার (কৃষি ও সিনপটিক) জানায়, বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে জেলায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের আগমনে জেলার বিভিন্ন বাজার ও সড়কের পাশে জমে উঠেছে মৌসুমি কাপড় ব্যবসা। মানুষজন শীতের কাপড় কিনতে দোকানগুলোতে ভিড় করছেন। ক্রোকারিজ ও হার্ডওয়্যার দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীত বাড়তে থাকায় চাহিদা বেড়েছে ইলেক্ট্রিক কেটলি (ওয়াটার হিটার) ও গ্রিজারের। ব্যস্ততা বেড়েছে ধনুকারদেরও। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে। রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র জানান, আপাতত কুয়াশার পরিমাণ বাড়তে থাকলেও শৈত্যপ্রবাহ নেই। তবে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে মাসের শেষ পর্যন্ত জেলায় একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সে সময় তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাবে।