চট্টগ্রাম ব্যুরো: ‘পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক’ টিকিয়ে রাখতে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করা শুরু করেছিলেন চট্টগ্রামের স্বর্ণের কারিগর মাধব দেবনাথ, আর তার জের ধরেই মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী বিথী দেবনাথ তাকে কৌশলে ‘শ্বাসরোধে হত্যা করেন’ বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার ভোররাতে টেরিবাজারের আফিমের গলিতে মামাতো ভাই পিন্টু দেবনাথের বাসার খাটের নিচ থেকে ২৪ বছর বয়সী মাধবের লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রায় ২০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পিন্টুর স্ত্রী বিথী পুলিশের কাছে সব খুলে বলেন। চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালতে রোববার ১৬৪ ধারায় ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) নোবেল চাকমা বলেন, শনিবার সকালে মাধবের লাশ উদ্ধারের পর তার বড় ভাই উত্তম দেবনাথ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পিন্টু, তার দুই ভাই, স্ত্রী ও মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। “দীর্ঘসময় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মাধবকে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দেন বিথী। তখন অন্যদের ছেড়ে দিয়ে বিথী দেবনাথকে আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি জবানবন্দি দেন।”
পুলিশ কর্মকর্তা নোবেল বলেন, “বিথীর সাথে মাধবের পরকীয়া ছিল। বিথী সেখান থেকে ফিরে আসার চেষ্টা করায় মাধব তার (বিথীর) একটি একান্ত ব্যক্তিগত ভিডিও ভুয়া ফেইসবুক আইডি থেকে পিন্টুর কাছে পাঠায়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। নিজের সম্মান রক্ষায় বিথী প্রতিশোধ নিতে একাই মাধবকে খুন করে লাশ খাটের নিচে রেখে দেন বলে জানিয়েছেন।”
আফিমের গলির ওই চার তলা ভবনের নিচ তলার ফ্ল্যাটে মা-বাবা, স্ত্রী ও আর দুই ভাইকে নিয়ে থাকেন পিন্টু দেবনাথ। তার ফুপাতো ভাই মাধব হাজারি গলির একটি গয়নার দোকানে কারিগর হিসেবে কাজ করতেন।