সিরাজদিখান মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি :
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বাংলাদেশ হেলথ্ এসিস্ট্যান্ট ও ইন্সপেক্টোরাল এসোসিয়েশনের আয়োজনে, বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও বেতন আপগ্রেডেশনসহ ৪ দফা দাবীতে এবং সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসচী (ইপিআই) ও হাম রুবেলা ক্যাম্পেইন বর্জনসহ সকল কার্যক্রম থেকে স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতির অংশ হিসেবে সোমবার চতুর্থ দিনেও সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্ম বিরতি অব্যাহত রয়েছে। ৩০ নভেম্বর সকাল এগারোটায় সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়।
সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখে, কমপ্লেক্সের মূল ফটকের সামনে কর্ম বিরতি পালন করেছেন তারা। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিদর্শন কমিটির সভাপতি ও দাবী বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক দিনেশ চন্দ্র মন্ডল, দাবী বাস্তবায়ন কমিটির সিরাজদিখান উপজেলা শাখার আহবায়ক মো. এন ইসলাম তালুকদার, সদস্য সচিব মোঃ জহির উদ্দিন মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক মাহাবুবার রহমান, যুগ্ম আহবায়ক মঞ্জু আক্তার, সদস্য সোহেল শেখ, আইরিন পারভীন, শ্যামল পৈত, আব্দুল হামিদ, জহিরুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, তানিয়া সুলতানা, শাকিলা আক্তারসহ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠ কর্মচারী এসোসিয়েশনের মহাসমাবেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদার ঘোষণা, ২০১৮ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রতি এবং ২০ ফ্রেব্রয়ারী ২০২০ ইং তারিখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব দাবী বাস্তবায়নে লিখিত সমঝোতাপত্রে স্বাক্ষর করেন। নিয়োগ বিধি সংশোধন পূর্বক বেতন বৈষম্য দূরীকরন করে স্বাস্থ্য পরিদর্শক-১১, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক-১২ এবং স্বাস্থ্য সহকারীদের-১৩ তম গ্রেড প্রদানের দাবীতে কর্ম বিরতি পালন করা হয়। স্বাস্থ্য সহকারীদের কাজের অর্জনে বাংলাদেশ টিকাদানে বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পেয়েছে পুরস্কার ও অনেক সুনাম। বাংলাদেশ হেলথ্ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশনের ব্যানারে ডাকা কর্ম বিরতির ফলে সারা দেশে এক লক্ষ বিশ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে প্রতিদিন ২০ হাজার মা ও শিশু প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও টিকা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আগামী ৫ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন কার্যক্রম থেকেও বিরত থাকবে আন্দোলনকারীরা। দাবি পূরণে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত এই কর্ম বিরতি অব্যাহত থাকবে বলে তারা জানিয়েছে।