অনলাইন ডেস্ক:
আনোয়ারা থানার অন্তর্গত দোভাষী হাঠ এলাকার মোহাম্মদ হোসেন এর ছোট ছেলে আমজাদ হোসেন, বংশগত দিকে থেকে তাদের খুব নাম ডাক। এক সময় তাদের পরিবারের জন্য আওয়ামী লীগ দাঁড়াতে পারেনি, কিন্তু এই আমজাদের কারণে তার পরিবার এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার অন্তর্গত ১৭ নং ওয়ার্ড পশ্চিম বাকলিয়া এলাকায় বসবাস করতে শুরু করে।কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পর সে এলাকার কিছু চিহ্নিত ছিনতাইকারিদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে, তারা প্রথমে ৩/৪ জনের একটি গ্রুপ দিয়ে অস্ত্র ও বেবী টেক্সী দিয়ে ছিনতাই করাতো। তাতেও তার মন ভরে না। পরে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ভুয়া ডিবি সেজে ছিনতাই করত। ১৯৯৭/৯৮ সালে মৌমিন রোডস্থ বাদল শালকরের সামনে জনগণ আমজাদ সহ তিন জন কে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তখন তাদের কাছ থেকে এক জোড়া হ্যান্ডকাপ, একটি ওয়ারলেস সেট উদ্ধার করে পুলিশ। জেল থেকে বের হবার পর কিছু দিন আত্মগোপনে থাকে। তাদের সিন্ডিকেটের সবাই জেল থেকে বের হয়ে আসলে ভুয়া ডিবি পুলিশ সেজে আবার শুরু করে ছিনতাই। ২০১০ সালে পটিয়ায় একটি ছিনতাই করতে গেলে জনগণ হাতে নাতে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পটিয়া থানায় তুলে দেয়। তখন পুলিশ তাদের কাছ থেকে আনুমানিক সাত লক্ষ টাকা, একটি ওয়ারলেস সেট এবং একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করে। অনেক দিন জেল খেটে বের হবার পর সে দুবাই চলে যায়। দুবাই গিয়েও সে থেমে ছিল না। দুবাই ও বাংলাদেশ কাষ্টমস এর কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশি সিগারেট ও স্বর্নের বার নিয়ে আসত। এই অবৈধ ব্যবসা করে ইউনুছ রোডস্থ নিরাপদ হাউজিং ১নং ব্লকে তার বাবার কেনা জায়গায় বিল্ডিং করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। সে মুহুর্তে দুবাই থেকে পাঠানো একটি সিগারেট ও স্বর্নের চালান ধরা পরে,কিন্তু আমজাদ সুকৌশলে দুবাই থেকে পালিয়ে দেশে চলে আসে। বাংলাদেশে এসে আবার নতুন কৌশল আরম্ভ করে। ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তির সাথে সক্ষতা গড়ে তুলে। এই রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পুঁজি করে রাতারাতি হয়ে উঠেন কথিত যুবলীগ নেতা। সম্পর্ক গড়ে তোলে বগারবিল শান্তিনগর এর চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোহেল রানার(সেলু) সাথে যার বিরুদ্ধে বাকলিয়া, চকবাজার ও কোতোয়ালী থানায় ১৫/১৬ টি চুরি, হত্যা,ও মাদকের মামলা রয়েছে। সোহেল রানা(সেলু) কে বানিয়ে দেয় শ্রমিক লীগ নেতা। শ্রমিকলীগ, যুবলীগ এর ব্যানার কে সামনে রেখে এবং ১৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর কিছু বড় বড় নেতার নাম ভাঙিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে মরণনাশক ইয়াবার পাইকারি ব্যবসা। পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছে চোলাই মদ আর গাঁজার ব্যবসা। নাম বলতে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্হানীয় ব্যক্তি জানান, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ এর একজন প্রভাবশালী নেতা তাদের তদারকি করে। ঐ নেতার আশ্রয় প্রশ্রয়ে সরকারি দল যুবলীগ ও শ্রমিক লীগ এর কথিত নেতা সেজে দাপটের সাথে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা ও প্রকাশ্য চাদাবাজি। যুবলীগ ও শ্রমিক লীগ এর নাম ব্যবহার করে আওয়ামীলীগের দু’একজন নেতার ছত্রছায়ায় চলছে আমজাদ, সোহেল রানা (সেলু) ও খোকন। আমজাদ হোসেন থাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। রাত যত গভীর হয় আমজাদ বাহিনীর তৎপরতাও বাড়তে থাকে। আমজাদের একটা ২০ জন সিন্ডিকেটের দুটি কিশোর গ্যাং রয়েছে। ১টি পরিচালনা করে সোহেল রানা(সেলু) চোর ও মাদক ব্যাবসায়,অন্যটি আমজাদ যেটা রাজনীতির কাজে ব্যবহার করে। আর মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করে খোকন, সেকান্দর ,সোলেমান। শহীদ, হৃদয় টাকা কালেকশন করে। প্রসংগত উল্লেখ্য যে, খোকন গত ২৯ মে ৭২০ পিচ ইয়াবা সহ বাকলিয়া থানায় গ্রেফতার হয়। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে মেরে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। তাদের সাথে প্রশাসনের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তাও জড়িত আছে বলে জানা যায়। আবার সরকারী দলের যে কোন মিছিল মিটিং এ তাদেরকেই সবার আগে দেখা যায়। এমনকি এলাকার দিনমজুরদেরকেও মিটিং মিছিলে যেতে বাধ্য করে। নাম বলতে অনিচ্ছুক কয়েকজন দিনমজুর জানান আমরা গরীব, দিনে এনে দিনে খাই, সারাদিন পরিশ্রম করে যা পাই আমজাদ ও সেলু বাহীনির লোকজন এসে সেটা ও কেড়ে নিয়ে যায়। গরীবদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মহিলাদের টাকা ধার দেয় ঐ টাকা সময় মত দিতে না পারলে তাদের স্বামীকে এনে মারধর করে, এমনকি মা ছেলের ঝগড়া হলেও বিচার তারাই করে এবং জরিমানা করে। জরিমানার টাকাও ভরে নিজের পকেটে। পুরো এলাকা তাদের হাতে জিম্মি। এলাকাবাসী এই ভয়ানক সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্তি চায়। এলাকাবাসী তাদেরকে অতি সত্বর গ্রেপ্তার করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।