মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ভুক্তভোগী সাজনা বেগম (৩৫) নামীয় এক নারী জাল টাকার সিন্ডিকেট চক্র সনাক্তকরণের দাবীসহ প্রকৃত অপরাধীকে গ্রেপ্তার করার দাবিতে বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ।
লিখিত বক্তব্য তিনি জানান- স্থানীয় আকল বাজারের ব্যবসায়ী তার স্বামী গেদন মিয়াকে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে আটক করা হয়। অপরাধী না হয়ে জেল হাজতে থাকার কারনে মানসিক যন্ত্রনায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সরেজমিন তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট তুলে ধরার আহবান জানান সাজনা বেগম।
তিনি বলেন, গত ১৫ নভেম্বর সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভাতিজা হৃদয় মিয়া এর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আমার স্বামী নিজেই রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাজান মিয়া, উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আলাল মিয়া, পাচঁগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ মিয়া এবং রাজনগর থানার পুলিশকে ফোন দিয়ে জানান, ‘আমাদের মালিকানাধীন ষ্টেশনারী দোকানের ক্যাশ টেবিলের নিচে এক বান্ডিল টাকা ও একটি পলিথিন দিয়ে মোড়ানো পুতলা কে বা কাহারা রেখে দিয়েছেন।’ এ সংবাদ পেয়ে রাজনগর থানার এসআই বিনয় ভূষণ চক্রবর্তী, এসআই রুহুল আমিনসহ একদল পুলিশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জাল এক হাজার টাকার নোটের মোট ৯০ হাজার টাকা ও ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পরিত্যাক্ত অবস্থায় পায়।
আমার স্বামীকে রাজনগর থানায় নিয়ে আসেন। এ সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকার গন্যমান্য লোকজন প্রতিবাদ জানান। পুলিশ এ ঘটনায় আমার স্বামী গেদন মিয়াকে আসামী করে পৃথক দুইটি মামলা (নং- ০৬ তারিখঃ ১৫/১১/২০) ধারা- ৩৬(১) এর ১০ (ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ইং, এবং- রাজনগর থানার মামলা নং- (০৭, তারিখঃ ১৫/১১/২০) ধারা- ২৫এ ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন। এই দিন সকালে একটি মামলার হজিরা দিতে তিনি মৌলভীবাজার আদালতে গিয়েছিলেন। ভাতিজা হৃদয় মিয়া দোকানে ঝাড়– দেওয়ার সময় উক্ত বস্তুু দেখে তাকে মুঠোফোনে জানায়। তিনি সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং রাজনগর থানার পুলিশকে অবহিত করার কারণে ষড়যন্তকারীদের ষড়যন্ত্রে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকেই জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। যদি আমার স্বামী সংগঠিত বিষয়ের সাথে জড়িত থাকতেন তা হলে নিজে অপরাধের কথা কি পুলিশকে জানাতেন?
এই প্রশ্নটি যদি কোন বিবেকবান মানুষ নিজের বিবেককে প্রশ্ন করেন তাহলে বুঝতে বাকি থাকবে না সে দিন কি ঘটেছিল। এছাড়াও আমার স্বামী যদি এই ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকতেন তা হলে কি ব্যবসায়ী সমিতি ও এলাকার জনপ্রতিনিধি মানববন্ধনসহ গনস্বাক্ষর দিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা করে সুষ্ট তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধিকে সনাক্তের দাবী জানান।
আমার ২টি মেয়েও এসব মিথ্যা অপমানে মানসিক ভাবে ভেংঙ্গে পড়েছে। তেমনি ভাবে আমিও মানসিক যন্ত্রনায় বিপর্যস্ত। আমাদের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র করে আজ আমরা পথে বসার উপক্রম। এমতবস্থায় আমি ও আমার পরিবারের প্রাণ শঙ্কায় আছে। যখন তখন ষড়যন্ত্র কারীরা আমার পরিবারের জান মালের ক্ষতি করতে পারে।