মহম্মদপুর (মাগুরা) উপজেলা প্রতিনিধি:
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার নৈহাটি গ্রামের রেজাউল করিম হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের আব্দুর রউফ মােল্যার ছেলে। করােনাকালীন সময়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন বেকার রেজাউল করিম। বাড়ির আঙিণায় পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা থাকায় বন্ধুদের পরামর্শে উদ্বুদ্ধ হন রেজাউল করিম। গড়ে তোলেন হাঁসের খামার।
এরপর তিনি বাড়ির আঙিণায় শুরু করেন স্বপ্নের হাঁস পালনের ঘর। উপজেলার ওমেদপুর ও কানুটিয়া থেকে ৫ মাস বয়সী ৮শ’ ক্যাম্বেল জাতের হাঁস ক্রয় করেন। প্রতিটি হাঁসের মূল্য তিনশ’ টাকা দরে মােট ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার হাঁস ক্রয় করেন রেজাউল করিম। নিয়ম মাফিক তিনি হাঁস লালন-পালন ও পরিশ্রম করতে থাকেন। কঠাের পরিশ্রম ও নিবিড় পরিচর্যায় তার খামারে সাফল্য ধরা দেয়। এ কাজে সহায়তা করেন তার স্ত্রী মনিরা পারভীন।
এখন রেজাউল করিমের খামারের হাঁসগুলো ডিম দিতে শুরু করেছে। প্রতিদিন গড়ে সাড়ে পাঁচ’শ থেকে ছয়’শ হাঁস ডিম দিচ্ছে। এক’শ ডিম বিক্রি করছেন এক হাজার একশত টাকা দরে। ওই হিসেব অনুযায়ী প্রতিদিন তার ৫ হাজার টাকার ডিম বিক্রি হচ্ছে। প্রতিমাসে দেড় লাখ টাকার ডিম বিক্রি করেন খামারি রেজাউল করিম। ডিম বিক্রি করার জন্য তাকে বাজারে যেতে হয় না। বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা তার বাড়িতে এসে ডিম ক্রয় করেন।
তবে প্রতি মাসে ফিড, শামুক ও ঔষুধ ক্রয়সহ তার আনুষঙ্গিক ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৭০ খেকে ৮০ হাজার টাকা। রেজাউল করিম এখন স্বচ্ছল ও স্বাবলম্বী একজন খামার মালিক । হাঁসের খামার করে তিনি অভাবকে জয় করেছেন। এখন পরিবারের ৬ সদস্য নিয়ে তিনি এখন সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন। সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা। পরিবারের সবার মুখে ফুটেছে হাসি ঝিলিক ।
দূর-দুরান্ত থেকে রেজাউল করিমের হাঁসের খামার দেখতে আসেন অনেকেই। তার সাফল্য দেখে এরই মধ্য পাশ্ববর্তী আড়মাঝি ও চরপাচুড়িয়া গ্রামের দুই যুবক হাঁসের খামার গড়ে তুলেছেন।
এ বিষয় সফল খামারি রেজাউল করিম বলেন, দুই বন্ধুর উৎসাহ ও পরামর্শে হাঁসের খামার করে এখন আমি আর্থিকভাব স্বচ্ছল। এ কাজে পরিবারের লোকজন আমাকে অনেক সাহায্য করে। তিনি আরোও বলেন, সংসারে এখন আর অভাব-অনটন নেই।