আকরামুজ্জামান আরিফ কুষ্টিয়া :-
কুষ্টিয়া শিল্পকলায় সাদামাটা ভোট সম্পাদকীয় কোন পদে একাধিক প্রার্থী নেই। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন ৫ জন। বাকী ৫জন সদস্য পদের জন্য ভোট হচ্ছে ৬ প্রার্থীর মধ্যে। এরমধ্যেও একজন নিষেধ মানেননি। মানলে ভোটেরই দরকার হতো না। এরকম পরিস্থিতিতে আজ ভোট হচ্ছে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীর।জেলা কালচালাল অফিসার সুজন রহমান বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমী কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ হবে। জেলা শিল্পকলার ৭শ ৬৮জন সদস্যের সঙ্গে পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক এবং জেলা কালচালাল অফিসার যুক্ত হয়ে ভোটারের সংখ্যা ৭শ ৭০জন। সুজন রহমান বলেন, সামাজিক দূরত্ব মেনে, হাত ধুয়ে এবং মাস্ক পরে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।২০২১-২৩ তিন বছর মেয়াদী কার্যনির্বাহী কমিটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক পদে আমিরুল ইসলাম, দু’জন সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন নজু ও আবদুর রশীদ চৌধুরী, দু’জন যুগ্ম সম্পাদক শহিদুর রহমান রবি ও সরকার রফিকুল ইসলাম শাহীন।আর সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছিলেন, আলম আরা জুঁই, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, জিল্লুর রহমান, জামাল উদ্দিন খান, নাসির উদ্দিন, জাফর আহমেদ ও এম এ কাশেম। এরমধ্যে ১৭ নভেম্বর এম এ কাশেম মারা গেছেন। নির্বাচনের রিটার্নিং কমকর্তা কুষ্টিয়া স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃনাল কান্তি দে বাকী ছয় জনের মধ্যে ভোট হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।পদাধিকারবলে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি জেলা প্রশাসক। আর এবারেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম টানা ১০ বারের সাধারণ সম্পাদক। সংস্কৃতির তীর্থভূমি কুষ্টিয়াতে শিল্পকলার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে এমন নির্বাচন কেন? জানতে চাইলে তিনি হেসে বলেন, প্রার্থী কেউ না আসলে আমরা কী করতে পারি। তবে এখানে কুষ্টিয়ার প্রায় সকল পর্যায়ের সুধীজনরা সদস্য আছেন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে ঠিকমতো প্রচার হয়েছে কী না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনার কারণে সরাসরি কাউকে বলা যায়নি, সাধারণ সভাও করা হয়নি। শুধু পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। প্রচার করা হয়েছে অনলাইন মাধ্যমে। তবে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর ফেসবুক পেজ ঘেঁটে কোন প্রচারণা বা এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেখা যায়নি।