তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
করোনা ক্রান্তিকালে কৃষকরা ছিল জরাজীর্ণ। এ সময় কৃষি অফিসারের সু-পরামর্শে উপজেলার ১০ ইউনিয়নে কৃষকরা করেছে আমন চাষ। হয়েছে বাম্পার ফলন। কুয়াশার চাঁদর বেধ করে উঁকি দিচ্ছে সকালের সোনা রোদ। হেমন্তের মৃদু বাতাসে দুলছে সোনালী ফসল। এ সব কিছু দেখার ফুসরত নেই কৃষকের। ঘাম জড়ানো কৃষকের চোখের সামনে শুধুই সোনা রাঙা ধান। এখন ধান কাটার পালা, মাঠের পাকা ধান,কাঁটা মাড়াই, বাছাই করে তুলতে হবে গোলায়।
তারাকান্দা উপজেলায় আমনের বাম্পার ফলন হওয়ায় এবার বেশ খুশি কৃষকরা।
আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, দু’একদিনের মধ্যে তিনি ধান কাটা শুরু
করবেন। কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার তার জমিতে বাম্পার ফলন হয়েছে।
অফিস সূত্রে জানা যায়, তারাকান্দায় হাইব্রিড ৫০৫ হেক্টর, উফশী ১৬০৫০ হেক্টর,
স্থানীয় ৫১৭০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়। তার মধ্যে ব্রিধান- ৪৯, ৫২, ৩৪, ৪১ ও ৬২,
বিনা- ১১ সহ স্থানীয় জাত উল্লেখ্যযোগ্য। উৎপাদন টার্গেট ৫৫ হাজার মে:টন
লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল
রানা বলেন, খরা সহিষ্ণু ব্রি- ৭১ প্রতি হেক্টরে ৭ মে:টন উৎপাদন হওয়ায় উৎপাদন
টার্গেট অনেক দূর ছাড়িয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, সরকারের কৃষি বান্ধব
নীতি এবং সময় উপযোগী সার বিদ্যুৎ, ডিজেলসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ কৃষক
পর্যায়ে পৌছানো নিশ্চিত করণ, আবহাওয়া অনকূলে থাকায় এমন আশাতীত
উৎপাদন হওয়া সম্ভব হয়েছে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও মনিটরিং অব্যাহত রেখে চাষীদের
উৎসাহিত করা হয়। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপ সহাকারী কৃষক কর্মকর্তাগণ
মাঠে থেকে কৃষকদেরকে দিক নির্দেশনা দিয়ে যান। ধান কাটা শুরু হয়েছে
কাকনী, কামারিয়া, বানিহালা ইউনিয়ন ও রামপুর হাওড়ে। তারাকান্দার পূর্ব পাড়ার
কৃষক ছুট্টো মিয়া ১ একর জমিতে খরা সহিষ্ণু ৭১ জাতের ধান আবাদ করেছেন।
তিনি বলেন বাড়তি উৎপাদন আমি পাচ্ছি।