মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:২৩ মামলার আসামী দুর্ধর্ষ আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সর্দার ও মৌলভীবাজার জেলায় একের পর এক ডাকাতি করার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ফজর আলী প্রকাশ বটুন কে জেলা থেকে জেলায় নিরলস ছদ্মবেশে নির্ঘুম তের দিন-রাত্রির অভিযানে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ।
গত (২ নভেম্বর) রাতে শ্রীমঙ্গলের মিশন রোড গ্রামের বাড়াউরা চা বাগানের এক অধিবাসীর বাড়িতে রাত অনুমান ২ঃ৩০ ঘটিকার সময় একদল অপরাধী বাড়িতে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়।জানামাত্রই জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযান টিম মাঠে নামে। গোপন তদন্তে জানা যায় এই ঘটনার মূল হোতা হবিগঞ্জের ডাকাত ফজর আলী এবং তার দল।
পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসনের সার্বিক সমন্বয়ে বিরতিহীন নির্ঘুম ১৩ দিনের অভিযানের এক পর্যায়ে গত (১৫ নভেম্বর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, মৌলভীবাজার এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক পরিমল চন্দ্র দেব এর একটি বিশেষ টীম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানায় এক বিশেষ অভিযানে উক্ত ঘটনার মূল হোতা কুখ্যাত আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার ফজর আলী প্রকাশ বটুনকে(২৫) পলায়নরত অবস্থায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উক্ত অভিযানের সময় চুনারুঘাট থানার পুলিশ সহায়তা করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত উক্ত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে বিচারের জন্য সোপর্দ করা হয়।
উক্ত ঘটনায় জড়িত অপর ৫ জন আসামীকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলোঃ১. ফয়সল মিয়া,পিতা- জমির আলী, উপজেলা মাধবপুর, হবিগঞ্জ ২. সুমন মিয়া,পিতা-কোরবান আলী, উপজেলা শ্রীমংগল, মৌলভীবাজার, ৩. মোঃ শাহ আলম নিয়া,পিতা-খালেক মিয়া,উপজেলা শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ৪. সয়ফুল মিয়া,পিতা-আবু শামা, উপজেলা বানিয়াচং, হবিগঞ্জ এবং ৫. স্বপন মিয়া, উপজেলা শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগন্জ জেলা। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ফজর আলী এবং তার দল মৌলভীবাজার জেলায় একের পর এক ডাকাতি সংগঠনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল।
জেলা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শীত মৌসুমে মৌলভীবাজারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে থাকে। গত বৎসর কঠোর নজরদারি এবং জনগণের সাথে কাঁধ মিলিয়ে কর্মতৎপরতার কারণে সাতটি থানার মধ্যে ছয়টি থানায় কোন প্রকার ডাকাতি সংঘটিত হয়নি। শুধুমাত্র সদর থানায় দুটি ডাকাতি হয়েছিল। করোনার কারণে এবং গত বৎসর ডাকাতি করতে না পারায় বিভিন্ন গোপন সূত্রে জানা যায় ডাকাতদল এবার শীতের আগমন ঘটতে না ঘটতেই সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে। সেজন্য পুলিশ শুরু থেকেই জোরদার কার্যক্রম পরিচালনার করছে। পুলিশ-জনতার যৌথ প্রয়াসে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।