অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর মিরপুর এলাকায় গৃহবধূ রহিমা বেগমের ওপর এসিড হামলার ঘটনায় পুলিশের এক সোর্স গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার নাম মোহাম্মদ আজাদ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কল্যাণপুরের নতুনবাজার বস্তি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। তিনি মিরপুর থানার সোর্স।
ডিবির মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মানস কুমার পোদ্দার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গৃহবধূ রহিমা বেগমের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহার করা এসিড ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছিলেন ওই সোর্স। সেই এসিড রহিমার সাবেক স্বামী কিনেছিলেন তার কাছ থেকে।
সোর্স আজাদ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবিকে জানায়, রহিমার স্বামী ৫০০ টাকা দিয়ে তাঁর কাছ থেকে এক মগ এসিড কিনেছিলেন। এরপর সেই এসিড রহিমার ওপর ছোড়া হয়।
রহিমার স্বামী আবদুল আলীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে আজাদকে গ্রেপ্তার করা হয় জানিয়ে পুলিশ জানায়, ৫০০ টাকার বিনিময়ে তিনি আজাদের কাছ থেকে এক মগ এসিড কিনেছিলেন। আব্দুল আলী বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে।
এর আগে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর এলাকা থেকে গত শুক্রবার গ্রেপ্তার হন আবদুল আলী (৪৯)। পরদিন তাকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে ডিবি সোর্স আজাদ সম্পর্কে তথ্য পায়।
জানা গেছে, ১০ বছর আগে কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা আবদুল আলীর সঙ্গে ভুক্তভোগী রহিমা বেগমের বিয়ে হয়। বনিবনা না হওয়ায় গত ১ আগস্ট রহিমা বেগম আবদুল আলীকে তালাক দেন। আর এতে ক্ষিপ্ত হন আবদুল আলী। এরপর গত ৯ নভেম্বর ভোরে ভুক্তভোগী রহিমা মিরপুরের হাসপাতালের কাজ শেষে ফেরার পথে যখন বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছান, তখন আবদুল আলী রহিমা বেগমের পিঠে ও মুখে এসিড ছুড়ে মেরে পালিয়ে যান। দগ্ধ রহিমাকে প্রথমে নেওয়া হয় মিরপুরের একটি হাসপাতালে। পরে তাঁকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এসিডে তাঁর শরীরের ১৬ শতাংশ পুড়ে যায়।