অনলাইন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদকের হাত থেকে সমাজকে রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, দেশের বর্তমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা একান্তভাবে দরকার। দেশের মানুষের শক্তিকে আমাদের উন্নয়নের কাজে লাগাতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য নবনির্মিত দু’টি আবাসিক ভবন এবং একটি অফিসার্স মেস-এর উদ্বোধনকালে দেওয়া ভাষণে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা সেনানিবাসের এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। পরে প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশকে জাতির পিতার কাঙ্ক্ষিত অবস্থানেই নিয়ে যেতে চায়, যেখানে দেশের প্রতিটি মানুষ পেট ভরে খাবে, হেসে খেলে সুন্দর ভাবে বাঁচবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সেটাই করতে চাই। তাই, দেশের শান্তি বজায় রাখা একান্ত ভাবে দরকার। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস বা দুর্নীতি ও মাদকের হাত থেকে সমাজকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। এজন্য আমাদের সকলেরই স্ব-স্ব কর্মস্থলে দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের দেশটাকে গড়তে হবে। আমাদের প্রত্যেকের কিন্তু যার যার একটা দায়িত্ব রয়েছে। সে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী একান্তভাবে অপরিহার্য উল্লেখ করে শেখ হাসিনা তাঁর ভাষণে বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনকালে সশস্ত্র বাহিনীকে স্বাধীন দেশের উপযোগী করে গড়ে তোলায় জাতির পিতার বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহেরও উল্লেখ করেন। জাতির পিতার প্রতিরক্ষা নীতিমালার আলোকেই তাঁর সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইতিহাসকে জানতে হবে, দেশকে জানতে হবে, দেশকে ভালোবাসতে হবে। দেশের জন্য কাজ করতে হবে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। দেশের জন্য কাজ করার শিক্ষা নিজের বাবা, মায়ের কাজ থেকেই লাভ করেছি। এটা আমি আমার বাবার কাছ থেকে শিখেছি, মায়ের কাছ থেকে শিখেছি। দেশের প্রতি যদি ভালোবাসা না থাকে, মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ না থাকে, কর্তব্যবোধ না থাকে তাহলে কোনো দায়িত্বই সঠিকভাবে পালন করা যায় না।
ডিজিএফআই’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ সাইফুল আলম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, প্রতিরক্ষা সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং পিএমও সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া অন্যান্যের মধ্যে গণভবন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন।