শেরপুর প্রতিনিধি :
ঋতুর পালাবদলে প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু এখনই শীতের আগমন ঘটেছে
সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলায়। শীতের প্রকোপ একটু বেশিই থাকে গারো পাহাড়ি এ
জেলায়। অন্যবছর এ সময়ে শীত পরিলক্ষিত না হলেও এ বছর এখনই শীত নামতে শুরু করেছে।
দিনের বেলায় রোদ থাকে তাই তাপমাত্রাও থাকে বেশী। কিন্তু রাত হলেই তাপমাত্রা কমতে
থাকে। এতে সন্ধ্যার পর থেকেই শীত বাড়তে থাকে। ভোরে কুয়াশাও পড়ে অনেকটা বেশী।
এবার আগেভাগেই শীতের দাপট দেখা যাওয়ায় অনেকেই শীতের কাপড় কিনতে শুরু
করেছে। লেপ-তোষক তৈরির দোকানে ভিড় লেগেছে। লেপ-তোষক বেচা-কেনাও চলছে ভালো।
অনেকেই আশঙ্কা করছে অন্য বছরের তুলনায় এবার শীত বেশী হবে। শীত বরণে চলছে
নানান প্রস্তুতি।
উৎসব আর আনন্দের মধ্যদিয়ে গ্রামে গ্রামে শুরু হয়েছে আগাম ধান কাটা।
গ্রামাঞ্চলে একটু বেশি শীত পড়তে শুরু করেছে। তবে শেরপুর শহরে সন্ধ্যার পর হতে শীতের
আমেজ টের পাওয়া যাচ্ছে।
সকালের ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে ভোরের সোনালি রোদ। ভোরের প্রকৃতিতে শির
শিরে ঠাণ্ডা ভাব। গারো পাহাড়ে গাছ থেকে ঝরছে পাতা, ঝরছে বিভিন্ন ফুল। শেষ
রাতে গায়ে কম্বল কাঁথা চাপাচ্ছেন অনেকেই। ইতিমধ্যেই গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে
উঠতে শুরু করেছে শীতকালিন সবজি ফুলকপি, মূলা, সড়িষা শাক, শালগম, গাজর, লাউ,
শিম।
দরিদ্র বৃদ্ধ মানুষগুলো এখনই কষ্টের মধ্যে পড়েছে। শেরপুর জেলা শহরের উত্তর গৌরীপুর
মহল্লার দরিদ্র বৃদ্ধ ইন্তাজ আলী জানান, এখনই যে শীত, এবার শীত কাটাবো কিভাবে ?
বিধবা হাফেজা বেওয়া জানান, আমরা তো গরিব মানুষ, ভাতই জুডে না। গরম কাপড়
কিনমু কই থাইকা। এহনই তো মেলা শীত। আরো তো শীত আইতাছেই।