ঈদগাঁও কক্সবাজার:
কক্সবাজারের ঈদগাঁওর মাছুয়াখালী-চৌফলদন্ডী সংযোগ সড়ক ও সেতু নির্মাণের দাবী এলাকাবাসীর। এলাকার লোকজন দীর্ঘকাল ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত। মানব ও স্থানীয় সম্পদকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখে যাচ্ছে এ অঞ্চলের জনগোষ্ঠি। হাজার হাজার লোক মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত থেকে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণে বহুদিন যাবত সাবির্ক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
এছাড়া মৎস্য,লবণ,চিংড়ি উৎপাদনে জেলায় অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছে এই এলাকা। বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় এলাকায় শিক্ষিতের হারও মোটামুটি পর্যায়ে বললে চলে। দীর্ঘকাল ধরে জীবন-জীবিকার তাগিদে লোকজন চৌফলদন্ডী হয়ে প্রতিকূল পরিবেশের মাধ্যমে কক্সবাজার শহরে নানান কাজকর্মে যাতায়াত করে যাচ্ছে। মগঘাটা খালে উপর সেতু না থাকায় জোয়ার-ভাটায় নির্ভরশীল এলাকার সর্বশ্রেনী পেশার অসংখ্য লোকজন। সুষ্ঠ যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় জরুরী অবস্থায় মুমুর্ষ রোগী এবং প্রসূতি মহিলাদের সদর হাসপাতাল ছাড়া অন্যান্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে সময়ও অর্থের অপচয় ঘটে বেশিভাগই।
ঈদগাঁওর মাছুয়াখালী সিকদার পাড়া (মগঘাটা) চৌফলদন্ডী খামার পাড়া সংযোগ সড়ক ও সেতু নির্মাণ হলে আধঘন্টা বা কম সময়ের মধ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে জীবন-জীবিকার তাগিদে এলাকার সুবিধা বঞ্চিত লোকেরা পর্যটন শহর কক্সবাজারে স্বল্প সময়ে আসা-যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। উম্মোচিত হবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের নব দিগন্ত। সৃষ্টি হবে শিক্ষিত বেকার যুব-যুবতীদের নানামুখী কর্মসংস্থান সুযোগ। সড়ক ও সেতু নির্মাণের দাবীতে এলাকার সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীসহ পেশাজীবী প্রতিনিধিরা আন্দোলন-সংগ্রামও করেছিল।
স্থানীয়রা জানান, সেতু নির্মিত হলে এলাকার লোকজন খুুুব সহজে কক্সবাজারে প্রয়োজনীয় কাজকর্মে আসা যাওয়া করতে পারবে পাশাপাশি সময়ও অর্থের অপচয় থেকে মুক্তি পাবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন জানান, মাছুয়াখালী-চৌফলদন্ডী সেতু নির্মান হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতরসহ নানামুখী কর্মসং স্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। দ্রুত সময়ে সেতু নির্মানের দাবী জানান।