সরাইল প্রতিনিধিঃ প্রাণ সংহারী করোনা ভাইরাস মহামারির শেষ কবে—বিশ্ব জুড়ে এ প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা হলেও এর মধ্যেই দেশে সময় ঘনিয়ে আসছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের। আইন অনুযায়ী আগামী বছরের মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের আগে ইউপি নির্বাচন শুরু করতে হবে, আর শেষ করতে হবে জুনের আগেই। আগামী বছরের শুরুতে হতে পারে স্থানীয় সরকারের ইউপি নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে সরাইলে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়ছেন এখনই। প্রচারণা থেমে নেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও। সরাইল উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়, গাছের ডালা কিংবা চায়ের দোকান। নতুন নতুন ব্যানার, পোস্টার আর ফেস্টুনের আনাগোনা বাড়ছে। হৃদয় নিংড়ানো শুভেচ্ছায় জানান দিচ্ছেন আগামী ইউপি নির্বাচনে নিজের পদপ্রার্থীর কথা। শুভেচ্ছার একপাশে কৌশলে লিখে দিচ্ছেন ‘দোয়া চাই, সম্ভাব্য পদপ্রার্থী’। এদিকে বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়,কৌশল হিসেবে অনেকেই করছেন রাস্তা ঘাট মেরামত ও নানা উন্নয়নমূলক কাজ। উঠান বইঠকেও ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের। সূত্রমতে, নির্বাচনে দলীয় সমর্থন পেতে সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন অনেকেই। বিশেষ করে সরকার দলীয় সমর্থন ও প্রতীক পেতে এই দৌঁড়ঝাপ বেশী। অনেকেই মনে করছেন, সরকার দলীয় সমর্থন পেলে নির্বাচন জয় প্রায় নিশ্চিত। তাই প্রার্থীদের নজর বেশী সরকার দলের প্রতীক ভাগে আনার। অনেকেই লবিং করছেন সরকার দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সাথে। সূত্রমতে, এই প্রতীক পেতে মোটা অঙ্কের টাকাও খরচ করতে প্রস্তুত নির্বাচন প্রার্থীরা। তবে একেবারে ভিন্ন শঙ্কা সাধারণ মানুষের মনে। জানান, ‘দলীয় প্রতীক পেলে বাড়তে পারে হাঙ্গামা। এছাড়া ভোটহীন হতে পারে নির্বাচন’।কালিকচ্ছ ইউপি সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অহিদুজ্জামান অপু লস্কর চায়ের আড্ডায় নিজের প্রত্যাশার কথা জানাতে বলেন, আমি জনগণের সেবক হিসেবে সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছি। আশা করছি আগামী নির্বাচনে জনগণের সুদৃষ্টি পাবো’। সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ সেলিম খন্দকারে’র সাথে কথা হয় তার প্রচারণা নিয়ে। জানান, আগামী নির্বাচনে পরিবর্তন ও উন্নয়নে তরুণদের নিয়ে থাকতে চাই’। আমি মানুষের পাশে আছি সর্বদা, পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।