নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের দক্ষিণ গামছাখালী গ্রামে ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক এক বিধবা মুসলিম নারীকে (৩৯) ধর্ষণের অভিযোগে এক ফেরিওয়ালাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটক ধর্ষক ফেরিওয়ালা শ্রীবাস দেব নাথ (৪০) উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ফজরম মাঝি এলাকার সুনীল দেব নাথের ছেলে। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ৩টায় আটক আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গামছাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা নারী একই দিন রাতে নিজেই বাদী হয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ গামছাখালী গ্রাম থেকে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তিনি আরো জানান, আটক ফেরিওয়ালা সাইকেলে করে ফেরি করে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাড়িতে বাদাম, মোল্লা বিক্রি করত। বৃহস্পতিবার দুপুরে সে ফেরি করতে যায় দক্ষিণ গামছাখালী গ্রামে। ওই সময় বিধবা নারীর মা ঔষুধ কিনতে পাশের বাজারে ছিল। ছেলে বাহিরে কাজ করতে যায়। বিধবা নারী একা রান্না ঘরে রান্না করছিল।
ফেরিওয়ালা বিধবা নারীকে ঘরে একা পেয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে বিধবা নারীর চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে ধর্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। অপরদিকে, হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নে এক কিশোরী (১৬) কে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ দুই যুবককে আটক করেছে।
ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আটককৃতরা হলো- উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের ফজরম মাঝি গ্রামের জাকের হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (২০) ও একই এলাকার মো. শিপনের ছেলে আলা উদ্দিন (২২)।
মামলা সূত্রে জানাযায়, উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ফরাজী গ্রামের কিশোরী (১৬) মোবাইলে মনির হোসেন নামে এক যুবকের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে মনির ও তার বন্ধু আলাউদ্দিন বুধবার রাতে তাদের বাড়ীতে আসে।
ওই সময় বাড়ীতে কিশোরীর বাবা-মা ছিলনা। কিশোরীর মা চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম, তার বাবা ব্যবসায়ীক কাজে বাজারে অবস্থান করছিল। বাড়ীতে একা পেয়ে মনির ও তার বন্ধু আলা উদ্দিন জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
পরে কিশোরীর চিৎকারে বাড়ীর অন্যান্য ঘরের লোকজন এসে দুইজনকে ঘরের মধ্যে ধরে ফেলে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীর বাড়ী থেকে দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (২৯ অক্টোবর) কিশোরী বাদী হয়ে মনির ও আলাউদ্দিনকে আসামী করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করে।তদন্ত পরিদর্শক কাঞ্চন কান্তি দাস জানান, গৃহবধুকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা নারী বাদী হয়ে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বিধবা নারীর মামলার আলোকে আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আটক দুই যুবককেও বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।