কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুরের ৬ বছরের শিশুকন্যা সানজিদা। তাকে প্রথমে বিষপান এবং পরে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে তারই আপন ফুপু সুমনা(১৪)।মৃত অবস্থায় তাকে ফেলে আসে মাঠের মধ্যে এক পরিত্যক্ত শৌচাগারে।ঘাতক ফুপু সুমনার অবৈধ সম্পর্ক দেখে ফেলেছিল সানজিদা (৬)।তারই মাশুল জীবন দিয়ে দিতে হলো নিষ্পাপ এই শিশুটিকে। ঘাতক সুমনা টিভিতে ক্রাইম পেট্রোল অনুষ্ঠান দেখে হত্যার নীল নকশা তৈরি করে।সানজিদা একই গ্রামের সোহাগ হোসেনের মেয়ে।এলাকাবাসী জানান, সানজিদা রোববার দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে না আসায় বিকেলে হরিনারায়ণপুর বাজারে মাইকিং করেন বাবা সোহাগ হোসেন। এরপরও তার হদিস না পাওয়ায় খোঁজ চলতে থাকে। সন্ধ্যার পর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা কাচারি মাঠের পাশে একটি পরিত্যক্ত টয়লেটে একটি শিশুর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে সানজিদার পরিবারের লোকজন এসে তার মরদেহ চিহ্নিত করে। সানজিদার মরদেহটি শোয়ানো অবস্থায় মেঝেতে ছিল। তার হাত-পা মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানা পুলিশ। তারা লাশ উদ্ধারে পাশাপাশি সুরতহাল করে। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আতিকুর রহমান আতিক বলেন, ‘পরিত্যক্ত একটি টয়লেট থেকে সানজিদা নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।